Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

মিসকল (ভাবির বোন যখন বউ), লেখাঃ Shamil Yasar , পর্বঃ ১৩

 

বাবা বাবা মিষ্টি গলায় ফাঁস দিয়েছে।

আমি আর ঝর্ণা ছুটে গেলাম পাশের রুমে। মিষ্টি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। বেডের উপর চেয়ার উল্টে আছে। মিষ্টি সমানে পা নাড়াচ্ছে হাত দিয়ে গলার বাঁধন খোলার চেষ্টা করছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার।
আমি ছুটে গিয়ে ওকে উচু করে ধরলাম। গলার বাঁধন খুলে দিয়ে নিচে নামিয়ে সজোরে একটা থাপ্পর মারলাম ওর গালে।
মিষ্টি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল আমাকে বাঁচালেন কেন? আমার এই পৃথিবীতে বাঁচার কোন অধিকার নেই।
ইচ্ছে তো করছিল আর একটা থাপ্পর লাগাই কিন্তু নিজেকে সংযত করলাম। তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে কি করছিলে কি তুমি? আরেকটু হলেই তো কেল্লাফতে হয়ে যেত। এসব জঘন্য কাজ করার আগে একবারও কি তোমার মা বাবার কথা মনে পড়েনি? তারা কত কষ্ট করে তোমাকে মানুষ করেছে তুমি জানো? যারা আত্মহত্যা করবে তারা যে ডাইরেক জাহান্নামে যাবে সেটা তুমি জানো না? আরে এই দুনিয়ার সামান্য কষ্ট তুমি সহন করতে পারছো না। তাহলে জাহান্নামের কষ্ট কিভাবে সহন করবে? এই দুনিয়া তো ক্ষণিকের জন্য কিন্তু ওখানে যে তোমাকে চিরস্থায়ীভাবে থাকতে হবে সেটা কি তোমার মাথায় একবারও আসে নাই?
- মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে বলল আমার সঙ্গে কি হয়েছে আপনি সেটা জানেন না। জানলে হয়তো আজ একথা বলতে পারতেন না।
- আমি জানি সব জানি। ওখানে কি তোমার দোষ ছিল যে সোজা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলে? আত্মহত্যা করে কি তুমি সব কষ্ট দূরে সরিয়ে দিতে পারবে? কবরে গেলে এর চেয়ে হাজার গুন বেশি কষ্ট তোমাকে সহন করতে হবে। সমাজের দু-চারজন মানুষের কথায় তুমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলে। সমাজের মানুষগুলো কি গিয়ে তোমার কবরে হিসাব দেবে? দুনিয়ার জীবন কঠিন হলে মৃত্যুর পরের জীবন আরো বেশি কঠিন।
তোমার সাথে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এখন ওটা দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাও। সমাজের মানুষের মুখ আছে তারা কথা বলবেই কিন্তু তাই বলে তুমি যে এরকম কোন পথ বেছে নেবে এটা তো ঠিক না। আর তোমার যখন সমাজের লোকদের এতই ভয় ছিল। তাহলে তো এসব করার আগে একবার ভাবার উচিত ছিল। তুমি আমাকে কি বলেছিলে আমি লুচ্চা। আমার মত ছেলের সঙ্গে তুমি প্রেম করবা না। তুমি আমার চেয়ে ভালো কিছু ডিজার্ভ করো তাহলে এমন ছ্যাচড়া ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলে কেন? আর সম্পর্ক করার বা কি দরকার এখন তো হরহামেশাই এইসব হচ্ছে। আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলতো ছেলেটা তোমাকে ওর বাসায় নিয়ে যাওয়ার আগে কখনোই তোমার সঙ্গে উল্টাপাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে না? সত্যি কথা বলবে
- মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে মাথা ঝাঁকায়
- তোমাদের মত মেয়েরা নিজেদের দোষেই নিজেদের মান-সম্মান হারায়। কারণ কি যান? তোমরাই সুযোগ দাও ছেলেদের। ছেলেদের মতলব খারাপ দেখলেই তো সেই সম্পর্ককে শেখালেই লাথি দেওয়া উচিত তোমাদের। তোমাদের দোষ দিয়ে আর কি করবো এখনকার সম্পর্ক মানে ফিজিক্যাল নীর্ড তা ছাড়া আর কিছুই না।
যা হবার হয়ে গেছে এখন এসব বাদ দাও। আর সমাজের মানুষগুলোর কথা ভেবে আত্মহত্যা করার কোন মানেই হয়না।সমাজের মানুষগুলো তুমি দু বেলা না খেলে দেখতে আসবে না। তারা তোমাকে এসে বলবে না যে তুমি খেয়েছ কি খাওনি। তাই তাদের কথা বাদ দিয়ে নিজের বাবা-মার কথা ভাবো। মৃত্যুর পরে জীবনের কথা ভাবো। নামাজ-কালাম পরো আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হয়ে যায় বাকিটা আল্লাহ'র উপর ছেড়ে দাও।
তোমার জীবনের সব দুঃখ কষ্ট একমাত্র তিনি দূর করে দিতে পারেন। সবকিছু ভুলে গিয়ে সামনে এগোনোর চেষ্টা করো।
- মিষ্টি চোখের পানি মুছে বলল বলা যত সহজ করাটা কিন্তু ততটা সহজ না। আপনি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে আমি কেমন পরিস্থিতিতে আছি। আমাকে কতকিছু মুখোমুখি হতে হচ্ছে এখন। আচ্ছা আপনি তো এতক্ষণ ধরে অনেক কথাই বললেন এখন আপনি বলুন আমার সাথে যা যা ঘটেছে এসব জানার পরও কি কোন ছেলে আমাকে বিয়ে করবে? আচ্ছা অন্য ছেলের কথা না হয় বাদই দিলাম আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
- আমি মিষ্টির কথা শুনে নির্বাক হয়ে গেলাম। ওই মুহূর্তে ঠিক আমার কি বলা উচিত সেটা আমার মাথায় আসছিল না। আমি বোকার মত শুধু ফ্যালফ্যাল করে মিষ্টি মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
-মিষ্টি তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল কি পারবেন না তো? মানুষকে বলা খুব সহজ কিন্তু সেই কাজটা করে দেখানো বড়ই কঠিন।
- হঠাৎ আমর জনদরদি মা বলল ও বিয়ে করত যদি ও ঝরনাকে ভালো না বাসতো। ঝরনার সঙ্গে যদি অভ্রনীলের এঙ্গেজমেন্ট না হতো তাহলে আমি নিজে তোমার সঙ্গে ওর বিয়ে দিতাম।
- ঝর্ণা বললো তোমাদের মতলব কি বলতো? গলায় ফাঁস দেওয়ার নাটক করে আমার বর কে আমার কাছ থেকে দূরে সরানো? আমার সামনে এসব নাটক চলবে না। আমার বর তো লুচ্চা তাই ভুলেও আমার বরের দিকে নজর দিবানা বলেই ঝর্না আমার হাত ধরে টেনে তার রুমে নিয়ে এলো।
- রুমের দরজা লাগিয়ে দিল আমাকে জড়িয়ে ধরে আবার কাঁদতে লাগল। মেয়েরা কিভাবে যে এত কাঁদে আমার মাথায় আসে না।
- কিছুক্ষণ কাদার পর আমার বুক থেকে মাথা উঠিয়ে বলল আপনি মিষ্টি আপুকে বিয়ে করুন আপনার মা ও আপনাকে ওর সাথে বিয়ে দিতে চাই। মেয়েটার অনেক কষ্ট বুঝলেন আপনি বিয়ে করে ও সব কষ্ট দূর করে দিন।
- ঝর্নার কথা শুনে আমি ধাক্কা দিয়ে ওকে সরিয়ে দিলাম। তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? আমি ভালোবাসি তোমাকে, আমি এখানে এসেছি কিন্তু শুধুই তোমার জন্য। উল্টাপাল্টা কথা বলে আমার মেজাজ খারাপ করাবে না।
- ঝর্না আবার আমার কাছে এসে বললো কিন্তু মেয়েটার তো সত্যিই অনেক কষ্ট। আপনি দেখেননি একদম সুখে বাঁশপাতা হয়ে গেছে। আপনি পারবেন শুধু ওকে আবার আগের মতো করে দিতে।
- আমার মেজাজ এবার সেইরকম খারাপ হয়ে গেল জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে বললাম তুই কর বিয়ে। ওর কষ্ট দেখে যখন তোর এতই মায়া হচ্ছে তুমি ওকে বিয়ে করে ও সঙ্গে সংসার কর আমি চললাম ইংল্যান্ড ফাজিল মেয়ে ।
- ছিঃ আপনি আমার সঙ্গে তুইতোকারি করে কথা বলছেন?
আলতু ফালতু কথা বললে 100 বার বলবো বলে আমি দরজা খুলতে নিলেই ঝর্না এসে বাধা দিল।
- দেখো আমার মাথা প্রচুর গরম এখন আমার সামনে থেকে সরে যাও আমাকে যেতে দাও
- ঝর্না মুচকি হেসে বলল আরে আমি তো মজা করছিলাম আপনি এত রাগ করছেন কেন। আসলে আমি পরীক্ষা করলাম আমার বরের মনে মধ্যে এখনো ওই মিষ্টি শাকচুন্নি আছে কিনা। কিন্তু দেখলাম আমার বর টা আমাকে খুব ভালোবাসে ওই শাকচুন্নির কথা আমার বরটা ভুলেই গেছে।
- আমাকে যেতে দাও আমার মেজাজ আর খারাপ করিও না। আমার সামনে থেকে সর আমাকে যেতে দাও।
- না সরবো না বলে ঝর্না এগিয়ে এলো আমার কাছে।
- দূরে যাও বিয়ের আগে এত চিপকাচিপকি ঠিক না।
- ঝর্না মুখ বাঁকিয়ে বললো ঙঙঙ ঢং এতক্ষণ যে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলেন তখন কই ছিল আপনার ভালোমানুষি?
- আমি তোমার কথাই ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। আমি এতদূর থেকে শুধুমাত্র তোমার জন্য আসছি আর তুমি যতসব ফালতু কথা বলে আমার মুডটাই নষ্ট করে দিয়েছে।
- সরি আর কখনো এরকম হবে না। এই যে কান ধরছি বলেই ঝরনা আমার কান ধরল।
- আমার কান ধরেছ কেন নিজের টা ধরো। আর এইসব কান টান ধরে আমার রাগ কমবে না তুমি আমাকে খুব হার্ট করেছ।
- আমিও জানি কিভাবে আপনার রাগ কমাতে হয় বলে ঝর্না আমার আরো কাছে আসতে লাগল।
- ছি ছি ছি কি করছো বিয়ের আগে কিন্তু এসব চুমু-টুমু খাওয়া ঠিক না। এই কেউ দেখলে কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যাবে।
- ঝর্না তার গোলাপী ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁটের কাছে নিয়ে এসে ভেংচি কেটে আমাকে কুতকুতি দিতে লাগলো।
- এই এই কি করছো কুতকুতি দিচ্ছ কেন? ঝর্না প্লিজ কুতকুতি দিওনা।
- হি হি হি আপনি কি ভেবেছেন আমি চুমু খাব? হুমায়রা ইসলাম ঝর্না কখন আপনার ওই বিড়ি খাওয়া ঠোটে চুমু খাবে না।
- আমি ঝর্ণার হাত পিছনে মুড়ে ধরবে বললাম ওমা তাই নাকি?
- হুম তাই
- আচ্ছা সেটা না হয় বিয়ের পরে দেখা যাবে। এখন জলদি শাড়ি টা চেঞ্জ করে একটা নরমাল জামা পড়ে বোরকা পড়ে আস।
- কেন?
- বারে! তোমার না সখ আমার সঙ্গে হাতে হাত রেখে হাট। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমার পকেট খালি করা, ফুচকা খাওয়া । চলো আজ রাতেই তোমার সখটা পূরণ করে নিয়ে আসি একটু হাঁটাহাঁটিও হবে তোমাকে ফুচকা খাওয়ানো হবে।
- ঝর্না অবাক হয়ে বলল আপনি আজই আমার ইচ্ছাটা পূরণ করতে চান!
- হ্যাঁ তুমি নাকি ভালোমতো প্রেমী করতে পারেনি। তাহলে চলো একটু ভালোমতো প্রেম করে আসি।
- ঝর্না নিজের শাড়ি দেখিয়ে বলল শাড়ি পড়ে গেলে কি সমস্যা?
- বললাম না তোমাকে এই শাড়ীতে ভয়ঙ্কর সুন্দর লাগছে।
আর আমার সুন্দরী বউয়ের দিকে অন্য কেউ নজর দিবে এটা তো আমি সহন করবো না। আমার বউকে দেখা হক একমাত্র আমার। আমার বউ যে ভয়ঙ্কর সুন্দর সেটা আর সবাইকে দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
- ঝর্না মুচকি হেসে বলল, আচ্ছা আপনি নিচে জান আমি আসছি একটু পর।
- আমার হাতের মধ্যে ঝর্নার নরম হাতটা নিয়ে হাঁটছি দুজন। রাস্তার দুপাশে সোডিয়াম লাইট জ্বলছে। ঝরনা বরাবরের মতই ননস্টপ কথা বলে যাচ্ছে। এই সোডিয়াম লাইটের আলোয় ঝর্ণাকে খুব মায়াবী দেখাচ্ছে। এই মায়াবী রমনীর ওপর আবার নতুন করে প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করছে আমার।
আমি ঝর্না কে থামিয়ে ও সামনে হাটুগেড়ে বসে ওর হাত টা শক্ত করে ধরে বললাম--
ঝর্ণা ভালবাসি তোমাকে।
ভালোবাসি, "তোমার ননস্টপ বকবকানি"
ভালোবাসি, "তোমার হুটহাট পাগলামি গুলো"
ভালোবাসি, "তোমার মধ্যে থাকা বাচ্চামি স্বভাবটাকে"
ভালোবাসি,"তোমার মায়া ভরা চোখ"
ভালোবাসি, "তোমারে লম্বা লম্বা চুল"
ভালোবাসি, "তোমায় কানের দুটি দুল"
খুব খুব খুব ভালোবাসি
আজীবন ভালবাসতে চাই।
তোমার কোলে মাথা রেখে হাসতে চাই।
তোমার কোলে মাথা রেখে কাঁদতে চাই।
তোমার কোলে মাথা রেখে জ্যোৎস্নাবিলাস করতে চাই।
তোমার সব স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে চাই।
তোমার হাত ধরে হাজারো মাইল পথ চলতে চাই।
তোমাকে নিয়ে সুন্দর একটা সংসার করতে চাই।
তোমাকে আমার সংসারের রানী বানাতে চাই ‌।
তুমি কি হবে আমার নানী?
-আজব তো আমি কেন আপনার নানী হতে যাবো?
- সরি সরি নানি না রানী
- ঝর্না মুচকি হেসে বলল হ্যাঁ হব আমি আপনার রানী। আমি যদি না হয় তাহলে আর কি হবে? অন্য মেয়েদের দিকে তাকালে একদম চোখ উঠিয়ে নিব। এখন উঠুন প্লিজ সবাই তাকিয়ে আছে।
- হাঁটতে হাঁটতে ঝর্ণা বললো জানেন আমি আপনাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আপনি যখন মরিচের শরবত খেয়ে ঝালে লাল হয়ে উঠেছিলেন। আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ওই অভ্র লাল চৌধুরীকে ছাড়া আমার চলবে না। আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার অভ্র লাল চৌধুরীকে পেয়ে গেছি।
- জানেন কবি বলেছেন,
তুমি যদি কাউকে ভালোবাস,তবে তাকে ছেড়ে দাও।যদি সে তোমার কাছে ফিরে আসে,তবে সে তোমারই ছিল।আর যদি ফিরে না আসে,তবে সে কখনই তোমার ছিল না
কিন্তু আমি আপনাকে ছেড়ে দিয়েও ছেড়ে দিতে পারিনি। কারন আমার যে এই অভ্রনীল চৌধুরীকে চাই। কারন আমার যে হাজার দুষ্টুমি পিছনে লুকিয়ে থাকে এই সুন্দর মনের মানুষটাকে চাই। অনেকে বলে ভালোবাসা নাকি সত্যি হলে সে তার ভালোবাসার মানুষ কে পাবেই। কিন্তু আমি ওসব মানি না। আমি জানি আল্লাহ আমাদের ভাগ্য আগেই লিখেছেন। শুধু কঠোর পরিশ্রম করে ভাগ্যটা পরিবর্তন করা যায় না ভাগ্যটা পরিবর্তন করতে হলে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। কারণ তিনি একমাত্র পারেন সবকিছু পরিবর্তন করতে।
আমি আমার আল্লাহর কাছে চেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাকে পেয়েছি।
- আমি দুষ্টুমি করে বললাম এখনো কিন্তু পুরোপুরি পাও নাই?
- ঝর্না আমার বাহুত একটা চাপড় মেরে বলল অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা আছে নাকি? একদম জানে মেরে ফেলবো।
- ফেরার পথে আমি একটা সিগারেট ধরাতেই ঝর্ণা বললো ইস আপনি এই অসহ্য জিনিস ছাড়তে পারেন না? জানেন এটা শুধু আপনার জন্য না আমাদের সন্তানের জন্যও অনেক ক্ষতিকর।
- তুমি দেখে একটু বেশি ফাস্ট এখনো বিয়েই হল না তুমি একদম সন্তানের চলে গেছো?
- বেশি কথা বলবেন না এসব সাইপ্রাস খাওয়া ছেড়ে দিবেন। বিয়ের পর আমি যদি দেখছি এসব খেতে তাহলে আপনার সঙ্গে কথাই বলব না।
- আমিতো ছাড়তে চাই কিন্তু কি করব সিগারেট না খেলে যে মাথা একদম চাপ দিয়ে ধরে থাকে। সকালবেলা একটা সিগারেট না খেলে তো..
- থাক আপনার আর বলতে হবে না। আপনি কি বলবেন আমি বুঝতে পেরেছি অসভ্য লোক একটা। পেঁপের তরকারি খাবেন তাহলে এমনি বের হবে।
- ঝর্নার বাড়ির সামনে আসতেই ঝর্ণা বললো আচ্ছা আজকে আমাদের বাসায় থেকে গেলে হয় না?
- দুই বছর পর দেশে আসলাম প্রথম দিনি যদি হবু বউয়ের বাসায় থাকি তাহলে সবাই বলবে বউ পাগল। আর মা বাবা অনেক কষ্ট পাবেন।
-তাহলে আমি আপনাদের বাসায়ই যায়?
- নানা বিয়ের আগে কোন থাকাথাকি নেই।
- ঝর্না বাসার মধ্যে চাওয়ার আগে আমাকে খুব করে সাসিয়ে গেল। ওই মিষ্টি শাকচুন্নি হতে সাবধান ভুলেও যেন ওর আশেপাশে না যায়....
- মা ঝর্নার মা নেই । ও ওর মাকে খুব মিস করে‌। মেয়েটা একদম মায়ের ভালোবাসা পায়নি। আমি চাই তুমি ওকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসে। যেন সে ভুলে যায় এই পৃথিবীতে তার মানে।
- হ্যাঁ আমি জানি তোর বলতে হবেনা আসছে পন্ডিত।
- আচ্ছা মা বিয়েটা কি এই সপ্তাহের মধ্যে করা যায় না?
- কেন বাবা এত বছর অপেক্ষা করতে পারলি আর একমাস অপেক্ষা করতে পারবি না?
- বাবা বলল বোঝনা কেন, এত সুন্দরী বউ রেখে তোমার ছেলে রাতে ঘুমাতে পারছে না...
চলবে...
বিশেষ দ্রষ্টব্য ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code