Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

মিসকল (ভাবির বোন যখন বউ), লেখাঃ Shamil Yasar , পর্বঃ ১৫

 

"সরি" আমি ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে মনের সুখে সিগারেট টানছি । হঠাৎ পেছন থেকে মেয়েলি কন্ঠে "সরি" শব্দ শুনতে পেয়ে সিগারেটটা ছুড়ে ফেললাম।
ভয়ে ভয়ে পিছন ফিরতেই দেখলাম মিষ্টি মুখে হাত দিয়ে খিলখিল করে হাসছে।
আমাকে ওর দিকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখে মিষ্টি হাসি থামিয়ে বলল ভয় পেয়েছেন বুঝি?
- আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম না ভয় পাওয়ার কি আছে?
- তাহলে চমকে উঠে সিগারেট ছুড়ে ফেললেন কেন?
- আমি বেশ বিরক্তি নিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বললাম আমি ভেবেছিলাম হয়তো ভাবী আসছে উপরে। ভাবীর সামনে তো আর সিগারেট টানা যায় না তাই ছুড়ে ফেলেছে।
- ও তো ভাবির বোনের সামনে তো ঠিকই খেতে পারেন তাহলে ভাবি সামনে কেন পারবেন না?
- কারণ ভাবি গুরুজন আর ভাবিকে আমি রেসপেক্ট করি তাই।
- "সরি"
- সরি ফর হোয়াট?
- সরি ফর এভরিথিং এতদিন যা যা আমি করেছি।
- ইটস ওকে আমি সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়ে বললাম।
- আমি জানি আপনি কখনোই আমাকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। আমি আপনার সঙ্গে যে দূর ব্যবহার গুলো করেছি ওগুলো সত্যি ক্ষমার অযোগ্য। আমার জন্যই দুলাভাই আপনার গায়ে হাত উঠিয়ে ছিল। আমার জন্য আপু আপনাকে অনেক বকা ঝকা করেছিল। আমি আপনাকে অনেক বাজে বাজে কথা বলেছি পারলে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি সত্যিই অনেক সরি।
- ইটস ওকে। আমি তোমার জন্যই হয়তো ঝর্নার মত একজন জীবনসঙ্গিনী পেয়েছি। তুমি রিজেক্ট না করলে হয়তো ও কখনোই আমার জীবনে আসত না। আমি নিজেকে অনেক লাকি মনে করি ঝর্নার মত একটা মেয়েকে আমার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে। দোয়া করো যেন আমরা দুজন সব সময় সুখে থাকতে পারি।
- মিষ্টি ধীরে ধীরে বলল দোয়া করি যেন ঝর্না আপনার জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে
- আমি স্পষ্ট শুনতে না পাওয়ায় আবার জিজ্ঞেস করলাম কিছু বললে?
- আপনাদের দুজনকে সুন্দর মানিয়েছে। একদম পারফেক্ট জুটি কিন্তু ঝর্না একটু হাইটে খাটো। ও যদি আমার মতো লম্বা হতো তাহলে আপনার সঙ্গে আরো ভালো মানাত।
- আমি মনে মনে বললাম তুমি কি বলতে চাচ্ছ আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আমার ঝর্নার সামনে তুমি কিছুই না।সে আমার জন্য সব দিক থেকে পারফেক্ট। ওর মধ্যে যা যা গুন আছে তার ছিটেফোঁটাও তোমার মধ্যে নেই। ওর সামনে বললাম না কারন হয়তো কষ্ট পাবে আর আমি আবার মেয়েদের কষ্ট দিতে পারি না। হিহিহি
- মিষ্টি চলে যেতেই আমি ঝর্না কে ফোন দিলাম। ঝর্না কল রিসিভ করে বলবো এতো রাতে আমার ঘুম ভাঙানোর মানেটা কি?
- না মানে ভাবছিলাম আজ সারারাত তোমার সঙ্গে প্রেম করব।
- ঝর্না অবাক হয়ে বলল ঘটনা কি বলেন তো আপনার মনে দেখি খুব প্রেম জমেছে? এতো প্রেম কই থেকে এলো শুনি?
- আমার বউটাকে দু'বছর পর দেখেই তো আমার আজ এই অবস্থা। বুকের মধ্যে কেমন চিন চিন করছে।গলা ফাটিয়ে গান শুরু করলাম
"বুক চিন চিন করছে হায়
মন তোমায় কাছে চায়"
বুক চিন চিন করছে হায়
মন তোমায় কাছে চায়
আমরা দুজন দুজনারি প্রেমের দুনিয়ায়
তুমি ছুঁয়ে দিলে হায়..
আমার কি যে হয়ে যায়
- ঝরনা ও সুর মিলিয়ে গাইতে শুরু করল
বুক চিন চিন করে এখন কোন লাভ নাই।
বুক চিন চিন করে যে এখন কোন লাভ নাই।
আম্মা যদি.. জানতে পারে
ঝাড়ুর বারি.. পড়বে ঘারে
চলেন আমরা দুজন তাই
ভাই বোন হয় যায়
চলেন আমরা দুজন তাই
ভাই বোন হয়ে যায়
- নাউজুবিল্লাহ! তুমি শেষ এটা কি বললা?
- হিহিহি মজা করলাম আপনি রাগ করছেন? আপনি কিন্তু একদিক থেকে আমার ভাই হন।
- ভাই এর গুষ্টি কিলাই আর যদি তোমার মুখে ভাই ডাক শুনেছি আমি তাহলে তোমার খবর আছে।
- ঝর্না দাঁত কেলিয়ে বলল কেন ভাইয়া কি হইছে?
- কিছু হয় নাই খালাম্মা মিষ্টি আমাকে সরি বলছে তো এখন ভাবতেছি ওর সঙ্গে ছাদে বসে আড্ডা দিব।
- ওই ওই কি বললেন? মিষ্টি শাকচুন্নি আপনাকে সরি বলাল আর আপনি ক্ষমা করে দিলেন?
- তো আমার কি করা উচিত ছিল খালাম্মা?
- খবরদার আর একবার যদি খালাম্মা বলছেন তাহলে আপনার খবর আছে। আর ভুলেও শাকচুন্নি সঙ্গে কোন প্রকার আড্ডা দিবেন না।
- ও কি বলেছে জানো আমার সাথে নাকি তোমাকে মানায়ি । তুমি নাকি অনেক শট। আমার সঙ্গে নাকি ওকে খুব ভালো মানাত।
- কি ওই শাকচুন্নি এসব কথা বলছে? ওকে তো আমার এখন কুচি কুচি করে কেটে মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে মেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা আপনি মাকে ফোন দিন তো আমি মা'র সঙ্গে কথা বলব।
-এখন! এখন তো অনেক রাত মা হয়তো ঘুমোচ্ছে কাল সকালে কথা বল
-না আমি এখন কথা বলব।
- কি এমন গুরুত্বপূর্ণ কথা যে তোমার এখনই বলতে হবে?
- অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাকে যেটা বলছি সেটা করেন। কি আর করার আমি বাধ্য হয়ে মা রুমে গিয়ে মাকে ডেকে ফোন ধরিয়ে দিলাম
- ঝর্না আমাকে সালাম দিয়ে বলল মা আমি কালকেই বিয়ে করবো।
- মা অবাক হয়েই বললো মধ্যরাতে তোর কি হয়েছে রে? জিনে ধরেছে নাকি?
- না মা তবে আপনাদের বাড়ি আশেপাশে পেত্নীর বসবাস কখন কি উল্টাপাল্টা করে ফেলে বলা যায়না।আমার বরের উপর ভর করলে আমার কি হবে? তাই আমি কালই বিয়ে করতে চাই।
মা ওকে কোনরকমে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ফোন রাখে।
15 দিন পর
আমার সাথে আমার বন্ধুকে আসতে দেখে মা আমাদের দিকে এগিয়ে এলো।
মা ও হচ্ছে আবির আমি ইংল্যান্ডে ওদের বাসাতে ছিলাম। ওদের বাসা মূলত সিলেটে কিন্তু এখন সবাই ইংল্যান্ডে সেটেল।
আমার ফ্রেন্ড আবির মাকে সালাম দিল। মা সালামের উত্তর নিয়ে বলল কেমন আছো বাবা। এরপর এগিয়ে গেল আবিবের দিকে। মা আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো ওর কোলে থাকা ওর ছোট্ট মেয়েটার দিকে। সোনামনি তোমার নাম কি ?
- মুনতাহা মা'রকলে যেতে যেতে বলল আমার নাম মোনতাহা।
- মা ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল সুন্দর নাম তো।
মুনতাহা হাত দিয়ে কপাল মুছে বলল ডোন্ট কিস মি
ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই মুনতাহা কে দেখে পাগল হয়ে গেছে। পিচ্চি মেয়েটা এত কিউট ওকে দেখলে যে কেউ আদর করতে চাইবে। ওকে দেখে সবচেয়ে খুশি হয়েছে ভাবি। একের পর এক চুমু খেয়ে যাচ্ছে ওর গালে। মুনতাহা যে বেশ বিরক্ত হচ্ছে সেটার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। পিচ্চিটা চুমু খাওয়া পছন্দ করেনা।
আবিরকে দেখলাম আমার পরিবারের সবাইকে ওর মেয়েকে নিয়ে মাতামাতি দেখে ও ভীষণ খুশি।
আমি আবিরকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম। আমি মিষ্টির নাম বলতেই আবির আমার কানে ফিসফিস করে বলল এটাই সেই মিষ্টি ? আমি মাথা ঝাকালাম।
আবির কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল।
ভাবি নিজ হাতে মুনতাহা কে খাইয়ে দিচ্ছে। মুনতাহা মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বলল আন্টি আপনি কথা বলতে পারেন না?
-ভাবী বলল না মামনি ও কথা বলতে পারে।
- তাহলে চুপ করে আছে কেন? এই যে আন্টি তোমার কি মন খারাপ?
- মিষ্টি কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবির বলল মুনতাহা দুষ্টুমি করো না । খাবার সময় কথা বলতে নেই।
- কিন্তু দুষ্টু বুড়িটা কে থামানো গেল না ‌। হঠাৎ সে খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে মিষ্টির দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল আমি তোমার হাতে খাব না আমি ঐ আন্টির হাতে খাব।
মিষ্টি বিরক্তি নিয়ে তার দিকে তাকালো। আবির বলল মা জেদ করো না। চুপচাপ খেয়ে নাও।
- না বাবা আমি ঐ আন্টি হাত থেকে খাব।
- ভাবি মিষ্টি কে বলল এই মিষ্টি মেয়েটা তোর হাতে খাইতে চাইছে একটু খাইয়ে দে না।
- মিষ্টি বিরক্তি নিয়ে তাকে খাওয়াতে লাগল।
- এক লোকমা ভাত মুখে দিতেই দুষ্টু মেয়েটা মিষ্টির আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিল। এরপর মুনতাহা খিলখিল করে হেসে উঠলো।
মিষ্টির প্রথমে ভীষণ রাগ উঠেছিল মেয়েটার প্রতি কি ফাজিল মেয়ে। আমি ওকে খাইয়ে দিচ্ছি আর ও আমার আঙ্গুলে কামড় দিচ্ছে? মিষ্টি একটা ধমক দিতে যাবে সেই মুহূর্তে মুনতাহার খিলখিল করে হেসে ওঠা দেখে সে থেমে গেল। মুহুর্তের মধ্যে দুষ্টু মেয়ে টাকে তার ভালো লাগতে শুরু করলো।
ওরে দুষ্টু মেয়ে আমার হাতে কামড় দেওয়া হচ্ছে? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা বলে মুনতাহাকে ধরতে নিলেই। সে দৌড়ে ভাবী পিছনে এসে দাঁড়ালো।
মেয়ের দুষ্টুমি দেখে আবির চেয়ার ছেড়ে উঠতেই নিলেই আমি ওকে বসিয়ে দিলাম।
মিষ্টি মুনতাহা কে কোলে উঠিয়ে নিয়ে বলল এবার কোথায় যাবে?
- মুনতাহা তার ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে চোখ ঢেকে বললো
আমি এখন নাই নাই
- মুনতাহা চোখ খুলে দেখো আমি তোমার বাবার কাছে থেকে তোমার সব চকলেট নিয়ে নিয়েছি ।
- তুমি মিথ্যা বলছো আমার দাঁতে পোকা বাবা তো আমাকে চকলেট খাইতে দেয় না।
- ও মা তাই! এটাতো অনেক খারাপ কথা। এত সুন্দর একটা কিউট বাবুকে চকলেট খাইতে দেয় না? আচ্ছা তুমি আমার সঙ্গে আমার রুমে চলো আমি তোমাকে চকলেট দিব।
- কিন্তু বাবা তো বকবে
- বাবা কিছু বলবে না বলেই মিষ্টি মুনতাহা কে সঙ্গে করে তার রুমে নিয়ে গেল।
-কিছুক্ষণ পর দেখা গেল দুজনকে দৌড়াদৌড়ি করতে। মুনতাহা কে পেয়ে মিষ্টি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
-ডিনার করার সময় মিষ্টি সবার পরে এসে বসলো।
- আবির মিষ্টিকে দেখে বলল আমার মেয়েটা আপনাকে বড্ড জ্বালাচ্ছে তাই না?ও সাধারণত আমি ছাড়া কিছুই বোঝে না আর কারো কাছে যাইতেও চায় না কিন্তু এখানে আসার পর থেকে দেখতেছি ও কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আজ সারা দিনে একবারও আমার কাছে আসে নাই। আপনার সঙ্গে মনে হয় বেশ ভালই বন্ধুত্ব হয়েছে ওর। আচ্ছা ও কথায়
- ও আমার রুমে ঘুমাচ্ছে চিন্তা করবেন না আমি ওকে খাইয়ে দিয়েছি।
- ভাবি অবাক চোখে মিষ্টির দিকে তাকালো।যে মেয়ের নিজের খাওয়ার ঠিক নেই সে অন্যকে খাওয়াচ্ছে। সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে।
- আমি সত্যিই অনেক সরি মিছেমিছি আপনাকে এতটা কষ্ট করতে হলো?
- আরে না কষ্টের কি আছে। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে তো ভালো লাগলো। তবে হ্যাঁ ও প্রচুর দুষ্টু আপনার ওয়াইফ ওকে সামলায় কিভাবে? নিশ্চয়ই ও আপনার ওয়াইফকে সারাদিন খুব জ্বালায়? আচ্ছা আপনার ওয়াইফ কে সঙ্গে নিয়ে আসলেই তো পারতেন।
- আবির গম্ভীর কণ্ঠে বলল ওর মা এই দুনিয়ায় নেই। ওকে জন্ম দিতে গিয়ে অন্তরা মারা গেছে।
- কথাটা শুনে উপস্থিত সবার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। সবচেয়ে মন খারাপ হলো ভাবির। তিনি ভাবছেন কি সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে অথচ তার মা নেই। মিষ্টির মনটাও ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। বাবা মেয়ে দুজনের জন্যই এক আলাদা মায়া জন্মালো মিষ্টির মনে।
- সেই দিনই শুরু মিষ্টি মুনতাহার নতুন রসায়ন। সেদিনের পর থেকে দেখা গেল মিষ্টি যেখানে মুনতাহা সেখানে। ক'দিনের মধ্যেই এমন হলো যে মিষ্টি রুম থেকে বের হতো না সে মুনতাহাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যায়। মুনতাহা হয়ে উঠল মিষ্টি ভক্ত। সে রাতেও ঘুমাতে লাগলো মিষ্টির সঙ্গে।
একদিন রাতে আমি আর আবির ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম মিষ্টি ছাদে আসছে। সে আবির কে ডেকে বললো আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিল।
-জি বলুন
- মিষ্টি বলল আপনি কি কাউকে পছন্দ করেন?
- আবির না সূচক মাথা নাড়াতে
- মিষ্টি কোনরকম ভনিতা ছাড়াই তার লাইফে কি ঘটেছে সবকিছু আবিরকে বলল। যদিও এর আগে আমি আবিরকে মিষ্টি সম্পর্কে সব কিছু বলেছিলাম।
-মিষ্টি কথা শেষ করে হেসে বলল আমার আপনার মেয়েকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আপনার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে আমি আপনার মেয়ের মা হতে চাই...
- আমি বেশ অবাক হলাম। আবির ভাবার জন্য দুদিন সময় নিল।
এর মধ্যে একদিন ঝর্না বাসায় এল। মুনতাহা কে দেখে সে ওকে চুমু খাওয়ার লোভ সামলাতে পারলো না। ঝর্না মুনতাহাকে চুমু খেতে যাবে এমন সময় মুনতাহা বলল প্লিজ আন্টি don't কিস মি
- ঝরনা ভুল কুঁচকে বললো কেন রে দুষ্টু
- মুনতাহা ঝর্ণার ঠোঁট দেখিয়ে বলল লিপস্টিক।
-ঝর্নাও দমে যাওয়ার পাত্রী না সে একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে আমার গালে একটা চুমু দিয়ে। আমার নতুন শার্টে ওর ঠোঁটে লিপস্টিক মুছে মুনতাহার গালে চুমু খেয়ে ওর গাল টেনে দিল।
সেদিনের পর থেকে শুরু হল এক নতুন ঝামেলা।
- পাত্র খুঁজতে বলেছিলাম তাই বলে ফরেনার? আর কতবার করে বলেছিলাম পাত্র যেন কালো হয়। আর আপনি খুঁজে নিয়ে আসলেন উজ্জল শ্যামা? সঙ্গে আবার রেডিমেড কিউট একটা বাচ্চাও ফ্রী। ওকে কোন কষ্ট করতে হবে না সবকিছুই রেডিমেট পেয়ে গেল।
আমার এখনি একটা বাবু চাই
- বাবু চাই মানে কি বাবু চাইলে কি পাওয়া যায়? আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো বিয়েটা হোক তারপর না হয় দেখা যাবে।
- বিয়ে হোক মানে ওই শাকচুন্নি বিয়ের আগেই একটা রেডিমেট বাবু পেয়ে গেল আর আমাদের তো এংগেজমেন্ট হয়ে গেছে।
- পাগলিরে রেডিমেট পাওয়ার মধ্যে তো মজা নাই। তুমি যখন নিজে বাচ্চার জন্ম দিবে তখন তো অনুভব করবে মা হওয়ার অনুভুতি টা কি রকম
- তা ঠিক কিন্তু আমার কতো কষ্ট সহন করতে হবে। দশ মাস পেটের মধ্যে রাখতে হবে। এরপর বাবু হাগু করবে হিসু করবে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। বাবু ডাইপার চেঞ্জ করে দিতে হবে। আর ওই মিষ্টি শাকচুন্নি কোন কিছু না করেই একটা কিউট বাবুর মা হয়ে গেল? সব দোষ আপনার বাংলাদেশি কি ছেলের অভাব ছিল? উনি একদম ফরেনার পাত্র নিয়ে আসছে। ওই মিষ্টি শাকচুন্নি যদি আমার সামনে ভাব নিয়েছে তাহলে আপনার খবর আছে......
চলবে......


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code