Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

মিসকল (ভাবির বোন যখন বউ), লেখাঃ Shamil Yasar , পর্বঃ ০৭

 

ইশ্ আমার কতো শখ ছিল একটা ইরানি মেয়েকে বিয়ে করব। কিন্তু এক বাঙালি মেয়ের জন্য সেই শখ টা আর পুরোন হলো না। কথাটা বলে বাবা আর চোখে মায়ের দিকে তাকালো। মায়ের মুখের কোনো পরিবর্তন দেখতে না পেয়ে বাবা হতাশ ।
- আমি কোন বিদেশীনিকে বিয়ে করতে না পারলে কি হয়েছে? আমার ছেলে বিদেশীনিকে বিয়ে করবে। ইরানি মেয়ে না হোক আমার ছেলেটা প্রথমে ই টাতো মিল রেখেছে। তাতেই আমি খুশি।
- মা যখন বুঝতে পারলো বাবা কি বলছে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাবার উপর।
বাবার পাঞ্জাবির কলার ধরে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে মা বলল কি বললে আবার বল? ইরানি মেয়ে বিয়ে করবি? আমার দুই ছেলেকে বলে একদম ঠ্যাং ভেঙ্গে হসপিটালে ভর্তি করে দেব। তখন করিস ইরানি মেয়েকে বিয়ে।
- এই তুমি রাগছো কেন? আমি তো বললাম ইংল্যান্ডের গাই নামটা সুন্দর হয়েছে।
- আমাকে কি তোর বয়রা মনে হয়? আমার জন্য তুই ইরানি মেয়েকে বিয়ে করতে পারিসনি তাই না? যা না বিয়ে কর তোকে কে ধরে রাখছে বলেই মা কেঁদে উঠলো
- এই সোনা পাখি তুমি কাঁদছো কেন আরে আমি তো মজা করছিলাম।
- ছেলেকে বিয়ে দিয়েছো এখন ভালো হয়ে যাও বলে দিচ্ছি।
- আচ্ছা ভালো হয়ে যাব তার আগে চলনা কোথা থেকে ঘুরে আসি। ছেলেরা তো কেউ নেই চলো এই ফাঁকে কক্সবাজার থেকে আমাদের হানিমুন টা সেরে আসি বলে বাবা মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।
- মানুষ বলে না বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরে সেই ভীমরতি টা তোমার ধরেছে। ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে তাও উনার রোমান্স শেষ হয়নি।
-তোমার মত একটা সুন্দরী বউ থাকলে কি রোমান্স না করে থাকা যায়?
- এসব মিষ্টি মিষ্টি কথায় আমার মন ভরবে না।
- তাহলে কি করলে আপনার মন ভরবে ম্যাডাম?
- দুদিন এই বাড়ি যত কাজ আছে সব তুমি করবে রান্না থেকে শুরু করে যত কাজ আছে।
- হায় হায় বল কি তাহলে কাজের লোকেরা কি করবে?
-কাজের লোকেরা পায়ের উপর পা তুলে বসে বসে খাবে।
- এটা কেমন কথা?
- এটা তোমার শাস্তি। কেন ইরানি মেয়ে বিয়ে করবে না? এখন বুঝ মজা
রাস্তা ফাঁকা দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে হাইস। পাগলা কুকুর যেরকম ছোটে সেইভাবে ছুটছে। আমি ড্রাইভার এর পাশের সিটে বসেছিলাম কিন্তু সেখান থেকে আমাকে তুলে আনা হয়েছে। এখন আমি বসে আছি মিষ্টি আর স্বর্ণার মাঝখানে। ভাইয়া ভাবি আর ঝর্না আমাদের সামনের সিটে বসেছে।
প্রথমে ভেবেছিলাম দুজন মেয়ের মাঝখানে বসেছি বেশ মজা হবে কিন্তু এখন দেখছি ঠিক তার উল্টোটা হচ্ছে। মেয়ে দুটো আমাকে জ্বালিয়ে মারছে। কে কোথায় কখন গুঁতো মারছে তার ঠিক ঠিকানা নেই।
-না আমাকে চুপচাপ বসে থাকতে দিচ্ছে না আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে। কখনো ওরা চুল টানছে কখনো চিমটি কাটছে কখন আবার কুতকুতি দিচ্ছে। আর দাঁত কেলিয়ে হাসছে। আমি কিছু বলতেও পারছি না চুপচাপ শুধু সহন করে যাচ্ছি
- আমি তো ছেলে মানুষ , আমি তো আর ওদের গায়ে হাত দিতে পারিনা। তারমধ্য ভাইয়া ভাবি সামনে সিটে বসে আছে।
- সবে একটু চোখটা লেগে এসেছিল অমনি দুজন দুদিক থেকে পেটে দিল চিমটি। আমি গাড়ির মধ্যে লাফিয়ে উঠলাম।
ভাইয়া আমার দিকে ফিরে বলল কি ব্যাপার নীল লাফাচ্ছিস কেন?
আমি বললাম ভাইয়া ভয়ঙ্কর একটা স্বপ্ন দেখেছি।
আমার পাশে দুজন মিটিমিটি হাসছে
- বলিস কি তুই আমার সুন্দরী দুই শালির মাঝে বসে ঘুমাচ্ছিস? আমি তো ভাবলাম তুই কিনা কি করছিস। আমি তো ভাবলাম তুই আমার শান্ত শুশীল ভদ্র শালীদের সাথেও তোর প্রেম লিলা শুরু করে দিয়েছিস।
- না ভাইয়া আমি ভদ্র হয়ে গেছি। আমি মনে মনে বললাম ভাইয়া তোমার শালীরা যে কেমন ভদ্র আর কেমন সুশীল সেটা আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানেনা
। সবগুলাই শয়তানের নানী।
ভাইয়া বলল তা কেমন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখলে শুনি?
- এখানে বলা যাবে না বাসায় গিয়ে বলব নি।
তখন ভাবি বলল কেন ভাই ? আমাদের সামনে বললে কি হবে? আমরা কি তোমার পরিবারের সদস্য না?
- আচ্ছা তোমরা যখন এত করে বলছ তখন বলেই ফেলি। ভাইয়া আমি দেখলাম তোমার বউ আর শালিরা মিলে তোমাকে ঝাড়ুপেটা করছে।
সঙ্গে সঙ্গে ভাইয়া বিষম খেলো। ভাবি তার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিল। ভাইয়া ঢকঢক করে পানি খেল
মিষ্টি বলল আমার মনে হয় আপনি স্বপ্নের মধ্যে ভুল মানুষকে দেখেছেন। কারণ বউয়ের হাতে ঝাড়ুপেটা খাবার বিন্দুমাত্র চান্স দুলাভাইয়ের নেই। তবে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আপনার কপালে বউয়ের হাতে বহুৎ মার খাওয়া লিখা আছে। দা বটি ঝারু লাঠি হাতের কাছে যা পাবে তা দিয়েই আপনার বউ আপনাকে পিটাবে বলেই মিষ্টি হি হি করে হেসে উঠলো ‌
আমি ভেংচি কেটে বললাম আইছে রে আমার জ্যোতিষী। আমার গায়ে হাত দিলে আমিও ছেড়ে কথা বলবো না হুম।
- তাহলে নারী নির্যাতন কেস খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে থাকুন।
- মিষ্টির কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম বিয়েটা আগে করি তারপর দেখবনি কে কাকে মারে।
-মিষ্টি ভেংচি কেটে মুখ ফিরিয়ে নিল।
- একটু পর আবার গুতো দেওয়া স্টার্ট করল। আমি মিষ্টির কোমর চেপে ধরে ফিসফিস করে বললাম আর একবার যদি আমাকে ডিস্টার্ব করছো তাহলে আমি সবার সামনে একদম কিস করবো বলে দিলাম? কে কী ভাববে সেটা কিন্তু আমি দেখবো না। আমার সাথে ফাজলামি করা বের হয়ে যাবে তখন।
এবার দেখলাম কাজ হল মিষ্টি মুখ ঘুরিয়ে বাইরের তাকালো। আর আমি চোখ বুঝে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। হঠাৎ করে এক মাতাল করা গান আমার নাকে এলো। বাতাসে মিষ্টির এক গোছা চুল আমার মুখের ওপর এসে পড়েছে। চুলের ঘ্রাণ আমাকে মিষ্টির দিকে টানছে। আমি ঘুমের ভান করে মিষ্টির কাঁধে আমার মাথা রাখলাম।
আমার উপর হয়তো মিষ্টি রাগ হলো কিন্তু সে তার কাঁধ থেকে আমার মাথা সরালো না।
মিষ্টির কাঁধে মাথা রেখে ওর চুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ একটা ধাক্কায় ঘুম ভেঙে গেল। মিষ্টির দিকে তাকাতেই দেখলাম সে রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
- এই যে মিস্টার লুচ্চা আপনাকে কাঁধে মাথা রাখতে দিয়েছি বলে কি? আপনি বাচ্চাদের মত আমার কাঁধে লালা ফেলবে? ইস আমার জামাটা একবার নষ্ট করে ফেললো
- আমি ভীত কন্ঠে মিষ্টি কে বললাম আস্তে কথা বল চিৎকার করছো কেন?
- সামনে থেকে ভাবী বলল কি হয়েছে রে মিষ্টি?
- আপু তোমার দেবর কে একটা ফিডার কিনে দাও সে ফিডার খাবে।
- কি সব বাজে কথা বলছিস?
- বাজে কথা না তোমার দেবর এখনো বাচ্চাদের মত ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে লালা ফেলে। বাবু ফিটার খাবে? কান্না করো না বাবু আর একটু অপেক্ষা করো বাসায় গিয়ে আমি তোমাকে বানিয়ে দেবো কেমন?
মিষ্টি সিট থেকে উঠে বলল আমি আর লালা বাচ্চার সাথে বসবো না এই ঝর্না তুই এখানে আয়। আমার দামি জামা টা নষ্ট করে দিল।
মিষ্টি উঠে গেল আমার পাশের সিটে ঝর্ণা এসে বসলো। মিষ্টির এমন ব্যবহারে আমি ভীষণ কষ্ট পেলাম। লজ্জায় আমি মাথা তুলতে পারছি না। এর আগে কখনো এমন সিচুয়েশনে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ছে না। কেন জানি আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছিল ওই সময়টাতে।
- আমি যখন এসব ভাবছিলাম ঝর্না আমার মাথাটা তার কাধে রেখে বললো বাজে চিন্তা না করে ঘুমান।
ভাবীদের বাসায় পৌঁছানো এক ঘন্টা পর শুরু হল নাচ গানের অনুষ্ঠান।
আমি ভাইয়া ভাবীর পাশে চুপচাপ বসে আছি। মনটা আমার ভীষন খারাপ এসব নাচ গান আমার বিরক্ত লাগছে। তবুও হাসিমুখে সবকিছু দেখতে হচ্ছে।
স্বর্ণা মিষ্টি আরো কয়েকজন মেয়ে একের পর এক নাচ করছে। সবাই বেশ ভালোই নাচতে জানে।
সবার শেষে মিষ্টি আর একটা ছেলে একসঙ্গে নাচতে আরম্ভ করলো। দুজনের জুটি মাশাল্লাহ খুব ভালো। কিন্তু আমার কেন জানি ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ছেলেটা বারবার মিষ্টি কোমরে হাত দিচ্ছে । কোলে তুলে নিচ্ছে হাত ধরে টানাটানি করছে। এসব অশ্লীল নাচ এতো মানুষের সামনে নাচার কোনো মানে হয়?
হঠাৎ ঝর্না এসে আমার হাত ধরে বলল ভাইয়া চলেন আপনিও আমাদের সঙ্গে নাচবে। তখন থেকে দেখছি আপনি মন খারাপ করে বসে আছেন।
- আমি হাসার চেষ্টা করে বললাম না আমি নাচতে পারি না তোমরাই নাচো আমি দেখি। কিন্তু ঝর্না জোর করে আমাকে নিয়ে গেল।
বক্সেন এবিসিডি মুভি সুন সাথিয়া গানটা বাজছে আমি আর ঝর্ণা গানের তালে তালে নাচছি। ঝর্ণা হাসি হাসি মুখ করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর দেখায় আগে কখনও খেয়াল করিনি।
নাচের পর্ব চুকিয়ে যাওয়ার পর ভাবী বলল নীল তুমি নাকি ভালোই গান পারো একটা গান গেয়ে শোনাও তো দেখি।
- মনটা ভালো নেই ভাবি এখন গান গাইতে পারবো না কিন্তু ভাবি জড়াজড়িতে গান গাইতেই হলো।
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
দয়া করো আমার উপর মাথায় পড়ায় একটা টোপর
সারাজীবন আইবুড়ো ভাত পেটে সবে না।
না না না না
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না
ওগো বাবা আমার কি বিয়ে হবে না?
গান শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে সবাই হেসে উঠল। ভাবির বাবা আমার কাছে এসে বলল দাঁড়াও আমি তোমার বাবার সঙ্গে কথা বলে অতি দ্রুত তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করতেছি।
মুরব্বীরা চলে যেতেই ভাবী বলল দেবরজি আমার তো সুন্দরী বোনের অভাব নেই একটু দেখতো কাউকে পছন্দ হয় নাকি তোমার বউ হিসেবে।
আমি মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললাম পছন্দ তো আছে। শুধু এখন সে রাজি হলেই হয়।
- মিষ্টি মুখ বাঁকাল
- ও মা! তাই নাকি? তাহলে তাকে উদ্দেশ্য করে একটা সুন্দর গান শুনাও দেখি
আমি গলা খেকিয়ে গান শুরু করলাম।
এক সুন্দরী মাইয়া,আমার মন নিলো কারিয়া…।
পারো যদি তোমরা তারে,দাও গো আনিয়া…।।
না পাইলে তার দেখা,যাবো রে মরিয়া…
এক সুন্দরী….
এক সুন্দরী মাইয়া,
আমার মন নিলো কারিয়া…।
পারো যদি তোমরা তারে,দাও গো আনিয়া…।
ওরে প্রথম দেখার কালে তারে,লেগেছিল ভালো…
মুচকি হাসি দিয়া,সে কই চলে গেলো…
তার কথা ভেবে,আমার অন্তর দেয় কাঁদিয়া…
বেহাইয়া মনটারে,বোঝাইবো কি দিয়া…
না পাইলে তার দেখা,যাবো রে মরিয়া…
এক সুন্দরী….
এক সুন্দরী মাইয়া,
আমার মন নিলো কারিয়া…।
পারো যদি তোমরা তারে,দাও গো আনিয়া…।।
ওরে কাজল কালো আঁখি রে তার,ঘন কালো চুল…
সেই চুলে গাঁথা ছিলো,রক্ত জবা ফুল…
তার জন্যে জীবন আমার,ধরতে পারি বাজি…
সাত সমুদ্র তের নদী,পারি দিতেও রাজি…।
না পাইলে তার দেখা,যাবো রে মরিয়া…
এক সুন্দরী….
এক সুন্দরী মাইয়া,আমার মন নিলো কারিয়া…।
পারো যদি তোমরা তারে,দাও গো আনিয়া…
গান শেষ হতেই সবাই জোরে তালি দিয়ে উঠলো।
ভাবি ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল ওমা তাই নাকি তো কে সেই সুন্দরী মাইয়া যে আমার ভাই টার মনটা কেরে নিয়েছে?
- আমি দাঁত কেলিয়ে বললাম "ভাবি তুমি আমার মনটা কেড়ে নিয়েছো গোঁ" তোমার মতো সুন্দরী মেয়ে থাকতে অন্য কোন মাইয়ার ক্ষমতা আছে আমার মন কেড়ে নেওয়ার?
- আমার কথা শুনে ভাইয়া তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো। হারামজাদা পৃথিবীতে এত মেয়ে থাকতে আমার বউয়ের উপরি নজর দিতে হলে তোকে? "তুইতো দেখি যে পাতে খাস সে পাতেই হাগু করিস"
- ভাইয়ার কথা শুনে উপস্থিত সবাই হি হি করে হেসে উঠলো।
ভাবি ভাইয়াকে বলল এই তুমি আমার ছোট ভাইটাকে বকছো কেন?
- শয়তান টার কথা শুনেছ তুমি ও আমার বউয়ের উপর নজর দিয়েছে? বাংলাদেশে কি মেয়ের অভাব? এই বৃষ্টি তুমি এই শয়তানটার থেকে দূরে দূরে থাকবে ওর উপর ভরসা নেই বলেই একটা চোখ টিপে দিল।
- ভাইয়া তুমি রাগছ কেন আমি তো জাস্ট মজা করে বলেছি।
- "চুপ ফাজিল" যে ছেলে মজা করে বড় ভাইয়ের বাসর রাতে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে সে যে আরো কি কি করতে পারে সেটা আমার ভালো করে জানা আছে।
সবাই আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলল-এই সুন্দর ছেলেটা এত ফাজিল সেটা তো জানতাম না?
মিষ্টি বলল উনি শুধু ফাজিল না এক নম্বরের লুচ্চা। এমন ছেলেকে কোন পাগলো বিয়ে করবে না।
- আমি ভুরু কুঁচকে তাকালাম মিষ্টির দিকে?
মিষ্টি যখন মুখ ভেঙাতে ব্যস্ত ঝর্না তখন বলল নীল ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। নীল ভাইয়াকে দেখে কত মেয়ে যে অজ্ঞান অতগুলো মেয়ে তোমার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই।
আমি ঝর্ণার দিকে তাকালাম মেয়েটা ভীষণ রেগে গিয়েছে। চোখ মুখ একদম লাল হয়ে উঠেছে। এতটা রাগার কারণ আমি বুঝলাম না।
আমি মুচকি হেসে বললাম ঝর্না এটা তুমি একটু বেশি বলেছ। তবে হ্যাঁ আমার বিয়ে নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না। আল্লাহ যার সাথে আমার বিয়ে লিখে রেখেছেন তার সঙ্গে হবে।
- ঝর্ণা বলল না ভাইয়া আমি মোটেও বেশি বলি নাই। যা সত্যি তাই বলছি।
- মিষ্টি মুখ বাঁকিয়ে বললো ঝর্না তোর ভাইকে এখন থেকে বোরকা পরে চলতে বলিস। তা না হলে এতগুলো মেয়ে যদি তাকে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সরকার তাদের মেডিকেলের জায়গা দিতে পারবে না। শেষে দেখা যাবে মেয়ে গুলো বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। আর তোর ভাই টাকে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে। দেখা যাবে জেল থেকে যখন ছাড়া পাবে তখন বুড়া থুরথুরা হয়ে গেছে তোর ভাই।
তখন একটা লাঠি আর একটা ভাঙ্গা থালা হাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে আর বলবে আম্মা দুইটা টাকা দেন সকাল থেকে কিছু খাইনি। আম্মা গো ও আম্মা
- আর কিছু বলার আগেই ঝরনা এক গ্লাস পানি ছুড়ে মারল মিষ্টি মুখে। নে খা...
মিষ্টি আমি ভালোবাসি তোমাকে।
আমার কথা শুনে মিষ্টি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল।
একটু পরে হাসি থামিয়ে বললো আপনাদের মত ছেলেদের সমস্যাটা কি জানেন? মেয়েরা একটু হেসে হেসে ভালোভাবে কথা বললে আপনারা ভেবে নেন মেয়েটা আপনাদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। আমি আপনার মত ছেলেকে ভালোবাসবো এটা ভাবলেন কিভাবে?
চলবে...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code