Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

মিসকল (ভাবির বোন যখন বউ), লেখাঃ Shamil Yasar , পর্বঃ ০২

 

#গল্পঃমিসকল
#পর্বঃ২
#লেখাঃShamil_Yasar
সাপ ধরে পলিথিনের মধ্য করে ভাবির বালিশের নিচে রেখে দিয়েছিলাম বলেই বাবা হো হো করে হেসে উঠলো।
আমি চোখ বড় বড় করে বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, বড় মা ভয় পাইনি?
- বাবা হাসতে হাসতে বললেন ভয় পাইনি আবার, ভয় পেয়ে দুদিন হসপিটালে ভর্তি ছিল।
- আমি যেন অবাক এর উপর অবাক হচ্ছি। বাবা তুমি এসব করেছ কেউ তোমাকে কিছু বলেনি?
- বাবা হাসি থামিয়ে বললেন, বলেনি আবার তোর দাদা আমাকে এক সপ্তাহ বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। এক সপ্তাহ আমি পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি শুধু। এরপর যখন বাড়িতে ফিরলাম তোর দাদা জোর করে আমাকে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দিল। সেখানেই ইতি ঘটলো আমার হাসি খুশি ভরা জীবনের। তোর দাদা আমার জীবনের বারোটা বাজিয়ে দিলো। এরপর শুরু হলো শুধু কষ্ট আর কষ্ট ।
জীবন যে কত কঠিন সেনাবাহিনীতে ঢোকার পর বুঝতে পারলাম। এক সময় আমি তোর দাদার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতাম কিন্তু এখন সেলুট করি তাকে। বাবা যদি সেদিন আমাকে সেনাবাহিনীতে না ঢুকিয়ে দিতেন তাহলে আজ হয়তো আমি মানুষের কাছ থেকে এতটা সম্মান পেতাম না। বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে সমাজে চলতে পারতাম না।
- সেনাবাহিনীতে ঢোকার তিন বছর পর বাড়ি ফিরলাম। এর আগেও ছুটি পেয়েছিলাম বেশ কয়েকবার। কিন্তু বাবার উপর ভীষণ রাগ ছিল এজন্য বাড়ি আসিনি। বাড়িতে আসার পর বাড়ির লোকজন ভীষণ খুশি মা তো কান্নাকাটি করে একদম শেষ অবস্থা। এতদিন পর ছেলে বাড়িতে ফিরেছে আমাদের বাড়িতে একদম উৎসব লেগে গেল। বাবা ও ভীষণ খুশি আমাকে তার বুকে টেনে নিয়ে বললেন
ছেলে আমার বড় হয়ে গেছে ছেলের বিয়ে দিতে হবে । ছেলের জন্য একটা ভালো পাত্রী খুঁজো। আমার এক মাসের ছুটি ছিল বাবা চাচ্ছিলেন এর মধ্যেই আমার বিয়েটা সেরে ফেলতে। বাড়িতে আমার বিয়ের কথা চলছে আমি তো লজ্জায় কারো সামনে যেতে পারি না।
- আমি বাবাকে প্রশ্ন করলাম ,কেন বাবা এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে?
- বাবা ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আমি কি তোদের মত বেহায়া যে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ঢেং ঢেং করে নাচতে নাচতে বাড়িসুদ্ধ ঘুরে বেড়াবো? তোদের তো লজ্জা শরম কিছু নেই বাবার সামনে 32 টা দাঁত বার করে হ্যা হ্যা করে হাসতে হাসতে বলেফেলিস আব্বা আমি বিয়ে করমু। একটু লজ্জাও করেনা।
- আমি অন্যদিক হয়ে মুখ বাঁকাতেই।
বাবা একটা ধমক দিয়ে বললো গরুর পাছার মত মুখ বানিয়েছিস কেন? এরপর কি হল সোন। তোর দাদীজান আমাকে পাত্রীর ছবি দেখালেন। পাত্রীর ছবি দেখেই আমার পছন্দ হলো। সামনাসামনি পাত্রী দেখতে গেলাম। বাবা আমার পিঠ একটা চাপড় মেরে বলল তোদের মতো না বুঝলি যে একা একাই সব কাজ সেরে ফেলব। তোর মা সামনে এসে বসলো আমি তো লজ্জায় তার দিকে তাকাতেই পারিনি সেদিন। বিয়ে ঠিক হয়ে গেল ফেরার পথে তোর মার হাতে একটা চিঠি দিয়ে এলাম।
- আহ কি প্রেম কথাটা বলতেই বাবা আবার আমার পিঠে একটা চাপড় মেরে বলল, তোদের মত জঘন্য প্রেম না বুঝলি? তোদের জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা তো বিয়ে ঠিক হতে না হতেই হ্যালো সোনা পাখি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে আরো কত ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে।
- আমি ধির কন্ঠে বললাম বাবা তোমাদের সময় মোবাইল ফোন ছিল না। তাই তোমরা কথা বলতে পারোনি তোমাদের সময় যদি মোবাইল থাকতো তাহলে তোমরাও কথা বলতে।
বাবা আবার একটা ধমক দিয়ে বলতে শুরু করল। চিঠি দিলাম কিন্তু সেই চিঠির উত্তর এলো না। আমার তো রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল। কোন কিছু ভাল লাগেনা চোখ বন্ধ করলেই তোর মার ছবি চোখে ভেসে ওঠে। সময় যেন কিছুতেই পার হয় না এদিকে তো দাদাজান পলিটিক্স খাটিয়ে আমার বিয়ের ডেট ফিক্স করলেন যেদিন আমি চট্টগ্রামে ফিরে যাব তার ঠিক আগের দিন। আমার বাপ কতো বড়ো হিটলার ছিল তাহলে ভাব সেই তুলনায় আমি কত ভালো একবার কি ভেবেছিস?
আমি আর থাকতে না পেরে একদিন রাতে লুকিয়ে তোর মার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। তোর নানার বাসায় পৌঁছানোর পর পড়লাম আরেক বিপদে তোর মা কোন রুমে থাকে তা তো আমি জানি না। অনেক কৌশল করে তোর মার রুম খুজে বের করলাম। জানালার ঠক্ঠক্ শব্দ শুনেই আমার সুন্দরী বউ টা চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠল। আমার তো মাথা আউলে গেল । কেউ যদি এখন আমাকে এখানে দেখে ফেলে তাহলেই তো সর্বনাশ। সবাই কি ভাববে? বিয়ের আগেই চৌধুরী বাড়ির ছোট ছেলে.... ছিঃ ছিঃ ছিঃ
আমি আর উপায়ন্তর না পেয়ে পাশের পুকুরে নেমে পড়লাম।
শীতের রাত কনকনে ঠান্ডা পানি। যদি আমার অভ্যাস আছে ঠাণ্ডা পানির মধ্যে থাকার কারণ ট্রেনিং করার সময় কোন কিছু ভুল হলে অফিসাররা আমাদের ঠান্ডা পানিতে নামিয়ে দিত। তোর নানাজান দলবল নিয়ে চোর খুঁজতে বেরোল। চোর না পেয়ে যখন তারা বাড়িতে ফিরল তখন আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।
- বিয়ে হল তোর মার সঙ্গে আমার কিন্তু তার চাঁদ মুখ খানি আমার দেখার সৌভাগ্য হলো না কারণ সে ইয়া বড় একটা লম্বা ঘোমটা দিয়ে তার মুখ খানি ঢেকে রেখেছিল। ভেবেছিলাম বাসর ঘরে ঢুকেই বউয়ের চাঁদ মুখটা দেখতে পাবো। কিন্তু...
বাসর ঘরে ঢুকে দেখলাম আমার বউ এর জায়গায় তোর দাদা জান বসে আছেন। তিনি জানালেন আজ নাকি আমার সঙ্গে ঘুমানোর খুব ইচ্ছা জেগেছে তার মনে। তিনি আজ রাত আমার সঙ্গে ঘুমাবেন। এমন ইচ্ছার কোন মানে হয় বল? বাসর রাত নিয়ে সবারি কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। আমারও স্বপ্ন ছিল তোর মায়ের কোলে মাথা রেখে গলা ফাটিয়ে উত্তম কুমারের মতো গাইব । "এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো"। আমার সুন্দরী কিশোরী বউটা সুচিত্রা সেনের মতো লজ্জামাখা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে আর মুচকি হাসে বলবে "না তুমিই বল"। কিন্তু তোর দাদাজান আমার স্বপ্নের বারোটা বাজিয়ে দিলেন। আমি বেশ বুঝতে পারলাম বাবা বড় ভাইয়ের বাসর রাতের করা দুষ্টুমির বদলা নিচ্ছেন আমার সাথে। তোর মার মতো সুন্দরী বউ রেখে আমি ঘুমাচ্ছি তোর দাদার সাথে। তার মধ্যে পরেরদিন আমি চলে যাব।বউ এর সাথে আবার কবে দেখা হবে ঠিক নেই। সেদিন আমি কি পরিমান কষ্ট পেয়েছি তোকে বলতে পারব না। রাগে ক্ষোভে আমি সেদিন ভোর হওয়ার আগেই কারো সঙ্গে দেখা না করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
- আমি আস্তে আস্তে বললাম ও আচ্ছা তাইতো বলি তুমি হিটলারের মত কেন? তোমাদের রক্তে তো হিটলারি মিশে আছে। বাপকা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া
- কিছু বললি ?
- না মানে বললাম দাদা জন তোমার সঙ্গে কাজটা একদম ঠিক করেনি।
- হুম এখন তোকে এখানে যে জন্য এনেছি সেটা শোন । তুইতো শুভর বাসর রাতের বারোটা বাজিয়েছিস । এখন তোকে ওর বাসর রাতের চৌদ্দটা বাজাতে হবে।
- আমি অবাক হয়ে বললাম কেন বাবা?
- বাবা একটু রাগী কন্ঠে বললেন, ঐ শয়তানটার নাকি বৃষ্টির সঙ্গে আগে থেকেই ইটিশ-পিটিশ ছিল। ও আমার চোখের আড়ালে এসব করেছে তার শাস্তি তো ওকে পেতেই হবে।
- আমি অবাক হওয়ার ভান করে বললাম, বল কি বাবা ভাইয়ার আগে থেকেই ভাবির সঙ্গে ইটিশ পিটিশ ছিল?
- বাবা আমাকে এক ধমক দিয়ে বলল ঢং করো আমার সঙ্গে তুই যে আগে থেকেই সব জানিস সেটা আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছি। আর ইটিশ-পিটিশ কিরে? ভদ্র ভাষায় কথা বলতে পারিস না বলবি সম্পর্ক ছিল।
- বারে তুমিও তো ইটিশ্-পিটিশ বললে?
- আমি বললেই তোকে বলতে হবে?
- সরি , আচ্ছা বাবা কিভাবে ভাইয়ার বাসর রাতের 14 টা বাজাবো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
- এটুকু যদি করতে না পারিস তাহলে এত টাকা খরচ করে তোকে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে আমার লাভ কি হল? একটু পর আমি সবাইকে আমার রুমে ডাকবো তুই তখন গিয়ে ওদের খাটের নিচে ঢুকে পড়বি। ওর খাটের নিচ তো হাবিজাবি জিনিসপত্র দিয়ে ভরা এমনভাবে লুকাবি জাতে তোকে খুঁজে না পাই। তোর কাজ হবে ওদের বিরক্ত করা। ওদের এক মুহূর্তের জন্য ঘুমাতে দিবিনা।
- আমি চোখ বড় বড় করে বাবার দিকে তাকালাম।
- বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে আমাকে নির্ভয় দিয়ে বললেন ভাবিস না। আজ ওদের মধ্যে সেই রকম কিছু হবে না। তুই ব্যাঙ দেখিয়েই মেয়েটাকে দুর্বল করে ফেলেছিস।
( এরইমধ্যে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমার সঙ্গে বাবার সম্পর্কটা কি রকম। শুধু আমার সঙ্গে না বাবা ভাইয়ার সঙ্গেও খুব ফ্রেন্ডলি । কিন্তু মাঝে মাঝে বাবার যে হঠাৎ কি হয়)
- আমি বললাম কিন্তু বাবা এটা করা কি ঠিক হবে?
- বাবা একটু রেগে বললেন তুই এত কথা বলিস কেন আমি তোরে যেটা করতে বলছি ওটাই করবি তুই। আরশাফ চৌধুরীর সঙ্গে ধোঁকাবাজি এর শাস্তি ওকে পেতে হবে।
-তো যেমন কথা তেমন কাজ। আমি সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়লাম ভাইয়ার খাটের নিচে। রুমের লাইট বন্ধ হল ভাই ভাবির মধ্য রোমান্টিক কথাবার্তা চলতেছে আমি কান খাড়া করে শুনতেছি। আমার ভাই যে এত রোমান্টিক তা আমার জানা ছিল না। হঠাৎ করে বাবার কথা মনে পরতেই পকেট থেকে একটা মার্বেল বের করে ফ্লোরে ছেড়ে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ওরা দু'জন কেঁপে উঠলো। কিন্তু থামল না ওদের কথোপকথন। একটু পর আমি আরো চারপাশটা মার্বেল ছুড়ে মারলাম ফ্লোরে। ভাবি ভয় পেয়ে ফিসফিস করে বলল তোমাদের বাড়িতে ভূত আছে নাকি? ভাইয়া ভাবি কে শান্তনা দিয়ে বলল আরে না ভূত কোত্থেকে আসবে দাঁড়াও আমি দেখতেছি। বলে ভাইয়া খাট থেকে উঠে লাইট অন করল এরপর পুরো ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও যখন কিছু পেল না। লাইট অফ করে আবার বেডে শুয়ে পরলো।
- কিছুক্ষণ পর আমি খাটের নিচে টুকটুক করে শব্দ করতে যাব ঠিক তখনই আমার ফোন বেজে উঠলো। কিন্তু আমি ফোন সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিলাম। 5 সেকেন্ড রিং হয়ে কেটে গেল। কিন্তু ততক্ষনের যা বোঝার বুঝে ফেলেছে। কোন ফকিন্নি যে এখন আবার মিস কল দিল। এই ফকিন্নি কে পেলে যে আমি কি করবো। আল্লাই জানে এখন ভাই আমার কি অবস্থা করবে। আল্লাহ তুমি এই যাত্রায় আমাকে বাঁচিয়ে দাও। আমি কথা দিলাম জীবনে আর কোন মেয়েদের দিকে তাকাব না।ও একটা কথা ভাইয়ার শালি গন এই তালিকার বাইরে থাকবে।
- ভাইয়া গম্ভীর কণ্ঠে বলল নীল খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে আয়। কি আর করার বাধ্য হয়েই আমি খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে এলাম।
ভাইয়ের চোখ থেকে এখন অগ্নি উদগীরণ শুরু হয়েছে। ভাইয়া চোখমুখ শক্ত করে বললো হারামজাদা তুই এ রুমে কি করিস?
- আমি মাথা নিচু করে বললাম ভাইয়া খাটের নিচে একটা ব্যাঙ ছিল তো ওটা কে খুঁজতে আসছিলাম। হঠাৎ করে তোমরা রুমে ঢুকে পড়লে তাই আর রুম থেকে বেরোতে পারিনি।
- ভাই আমাকে মারার জন্য এগিয়ে এলে ভাবি তাকে আটকালেন। আমি দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে এলাম আসার সময় শুনলাম ভাবি বলছেন ছিঃ তুমি কি সব বলছিলে ও নিচে থেকে সব শুনে ফেলেছে। ভাগ্যিস আমাদের মধ্যে কিছু হয়নি তাহলে কি হতো? আচ্ছা তোমার ভাই এত ফাজিল কেন বলতো? তোমার বাবা ভালো তুমি ভালো তোমার মা ভালো তোমার ভাই এরকম ফাজিল কেন বলতো?
উত্তরে ভাইয়া কি বলল তা আমি শুনতে পেলাম না। আমি বাবার রুমের সামনে গিয়ে নক করে বললাম বাবা আমি তো ধরা খেয়ে গেছি। বাবা জেগেই ছিলেন
তিনি রুমের মধ্যে থেকেই বললেন তুই তো একটা গাধা তোকে দিয়ে কিছু করা সম্ভব না। এখন যা করার আমাকেই করতে হবে।
মা ঘুমঘুম কণ্ঠে বললেন এই তুমি কি দিন দিন ছোট হচ্ছ? ওরা নতুন বিয়ে করেছে ওদের কে কি তুমি একসাথে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও দেবে না?
-বাবা বললেন লক্ষী সোনা আমার তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো আমার কাজ আমাকে করতে দাও। ভুলে যেও না তোমার শ্বশুর মশাই আমার সঙ্গে কি করেছিলেন।
- মা বললেন তাই বলে তুমি সেই প্রতিশোধ তোমার ছেলেমেয়েদের সাথে নিবে। এটা কি ঠিক বল?
- আমার লক্ষী সোনা পাখি এটা আমাদের বংশের পরম্পরা । যে বিয়ে করবে তাকেই এসব ফেস করতে হবে তাই আমাকে আমার কাজ করতে দাও বলেই বাবা রুম থেকে বেরিয়ে এলেন।
ভাইয়া রুমে গিয়ে ভাইয়াকে ডেকে একটু চিন্তিত স্বরে বললেন তোর মার একটু অসুস্থ হয়ে পড়ছে তোর বউকে একটু পাঠিয়ে দে না তোর মার কাছে। আজ রাতটা তোর বউ তোর মার সঙ্গে থাকুক। বাবার কথা শেষ হতে না হতে ভাইয়ের হাসিমাখা মুখে নেমে এলো অন্ধকারের ছায়া। ভাবিকে দেখলাম মাথায় ঘোমটা দিয়ে বেরিয়ে এলে। সোজা চলে গেলেন মার রুমে। তাকে দেখে খুব চিন্তিত মনে হল। ভাবি মার পাশে বসেই মার হাত ধরে আস্তে আস্তে বললেন মা কি হয়েছে আপনার? শরীর কি বেশি খারাপ?
- মা অবাক চোখে বাবার দিকে তাকালেন আমিও তাকিয়ে ছিলাম বাবার দিকে। বাবা দেখলাম চোখ টিপে দিয়ে মুচকি হাসলেন।
- একটু পর আমি ভাইয়ার বাবা রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। বাবা ভাইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলল শুভ আজ না তোর বাসর রাত যা তুই এখানে কি করছিস। ভাইয়া করুন চোখে বাবার দিকে তাকালো। এরপর অসহায়দের মতো করে বলল আমার বউকে নিজের নিজের বউয়ের সেবায় লাগিয়ে এখন মজা নিচ্ছো? বাবা দেখলাম মিটিমিটি হাসছেন।
- আমি ভাইয়াকে জ্বালানোর জন্য বললাম ভাইয়া বউ ছাড়া তো বাসর হয় না তবে আমার কাছে দুইটা কোলবালিশ আছে তুমি চাইলে আজ রাতের জন্য একটা তোমাকে ধার দিতে পারি।আজ না হয় কোলবালিশ দিয়েই কাজ চালিয়ে নাও বলেই আমি দাঁত কেলিয়ে হাসলাম।
ভাইয়া অগ্নি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল মজা নিচ্ছিস সমস্যা নাই একদিন তোকেও এসব ফেস করতে হবে সেদিন আমি মজা নিব আর তুই ঠেলা বুঝবি।
- বাবা দেখলাম আবার রুমের মধ্যে গিয়ে বলল বৌমা একরাত স্বামীর সঙ্গে না থাকলে কিছু হবে না বুঝলে। আজ না হয় আমার সুন্দরী বউ টার একটু সেবা যত্ন করলে।
- মা বললেন ইস যাও তো এখান থেকে অসভ্য লোক একটা। ছোট-বড় কিছু দেখেনা সব সময় অসভ্যতামি
বাবা আস্তে আস্তে রুম থেকে বেরিয়ে এলেন। ঠিক তখনই শুনতে পেলাম ভাবি মা কে বলছে বাবা তো দেখি সত্যিই একটা হিটলার।
বাবার কানেও কথাটা পৌঁছেছে। বাবা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলল-এই ও কি বললো আমি হিটলার?
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালাম।
সকাল হতে না হতে বাবা আমাকে ডাকতে লাগল নীল এই নীল ওট ।
ইস বাবা একটু ঘুমাতে দাও না রাতে তো ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি।
তুই উঠবি নাকি লাথি খাবি? তাড়াতাড়ি ওঠ বাজারে যেতে হবে। কি আর করার বাবার অর্ডার উঠে ফ্রেশ হয়ে বড় বড় ব্যাগ হতে বাজারে গেলাম।
বাবা দেখলাম ৭ কেজি ওজনের একটা কাতল মাছ কিনল। এরপর দেখলাম অনেকগুলো ছোট মাছ কিনল। বাবার মতলব কি আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।
- আচ্ছা বাবা তুমি কি এসব মাছ ভাবিকে দিয়ে কাটানোর প্লান করছো?
- বাবা আমার দিকে তাকিয়ে এমন ভেলেনি হাসি দিল যেটা তামিল সিনেমার ভিলেন দের ফেল পালাবে।
- আমাকে হিটলার বলা এবার দেখবে হিটলার কি জিনিস...
আজ যে ভাবির কি হবে আল্লাহ ভালো জানেন..
চলবে....
বিশেষ দ্রষ্টব্য ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটা যদি ভালো লাগে তাহলে পরবর্তী পার্ট দিব ইনশাল্লাহ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code