Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

মিসকল (ভাবির বোন যখন বউ), লেখাঃ Shamil Yasar , পর্বঃ ০৮

 

রাত 10: 30 মিনিট। মিষ্টি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। একটা হাল্কা আকাশী রঙের সালোয়ার-কামিজ পড়েছে সে। বেশ সুন্দর লাগছে তাকে।
-মিষ্টি তোমার সঙ্গে কিছু কথা ছিল। একটু আমার সঙ্গে ছাদে যাবে?
- যা বলার এখানেই বলুন। আমি কোথাও যেতে পারবো না।
- বাহ বাড়িতে আসতে না আসতেই বিহেভিয়ার চেঞ্জ। মিষ্টি রুমে তখন স্বর্ণা ছাড়াও আরো কয়েকজন মেয়ে ছিল। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বললাম আপু আপনারা একটু বাইরে যাবেন।
- না ওরা কোথাও যাবে না আপনার যা বলার আপনি ওদের সামনেই বলুন।
কিছুক্ষণ নীরবতা
আমি প্রথমে কথা শুরু করলাম। সবার সামনে আমাকে এতটা অপমান করার কোন প্রয়োজন ছিল কি? আমি ফাজিল আমি লুচ্চা আমাকে পাগল ও বিয়ে করবে না এসব কথা সবার সামনে বলা কি খুব দরকার ছিল?
-, যা সত্যি আমি তাই বলেছি।
আচ্ছা আমার চ্যাপ্টার না হয় ক্লোজ করলাম তুমি বলো
ওই ছেলেটার সঙ্গে এত ঢোলা ঢলি করে নাচার কোন মানে ছিল?
- আমি কোথায় আবার ঢলা-ঢলি করেন নাচলাম? আর আমি যদি ঢলা ঢলি করে নাচিও তাতে তো আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না?
- আমি মিষ্টির চোখে চোখ রেখে বললাম জানো মিষ্টি ওই ছেলেটা যখন বারবার তোমার কোমরে হাত দিচ্ছিল। তোমাকে যখন কোলে উঠিয়ে নিচ্ছিল আমার কলিজাটা বারবার কেঁপে উঠছিল। কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। ভীষণ রাগ হচ্ছিল ছেলেটার উপর ইচ্ছে করছিল ওর হাতটা ভেঙ্গে দি। ও কেন তোমাকে ছোঁবে?
- মিষ্টি ভ্রু কুঁচকে বললো ও আমাকে ছুলে আপনার সমস্যা কোথায়? আপনার কষ্ট পাওয়ার কোন কারণ তো আমি দেখছি না?
- মিষ্টি তুমি কি সত্যিই বুঝতে পারছ না নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছ?
- সিরিয়াসলি আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা ‌‌।
- আমি যে তোমাকে ভালোবাসি এটা তুমি বোঝনা?
-আমার কথা শুনে মিষ্টি হাসতে হাসতে ফ্লোরে বসে পড়লো। রুমে থাকা মেয়ে গুলো আমার অসহায় মুখ দেখে মাজা পাচ্ছে।
-মিষ্টির এভাবে হাসার কারণ আমি বুঝতে পারছি না। আমি বললাম কি হয়েছে তুমি এভাবে হাসছো কেন? আমি কি কোন মজার জোকস শুনিয়েছি তোমাকে?
- মিষ্টি হাসি থামিয়ে বললো আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
- কেন?
- আপনাকে ভালোবাসার মতো কোনো কারণ আছে কি?
- তাহলে এতদিন যা ছিল সব মিথ্যা? তোমার চোখে আমি যে আমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি সেটাও মিথ্যা? আচ্ছা তুমি যদি আমাকে ভালো নাই বাসো তাহলে আমি কিস করার পর তুমি চুপ ছিলে কেন? এর কোনো প্রতিবাদ করোনি কেন?
- মিষ্টি আবারও মুখে হাত দিয়ে হাসতে শুরু করল। আমার সামনে তুরি বাজিয়ে তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল স্বপ্না থেকে বেরিয়ে আসুন মিস্টার অভ্রনীল চৌধুরী। আর আপনি ভাবলেন কিভাবে আমি আপনাকে ভালবাসবো? আপনার সাথে হেসে হেসে দুইটা কথা বলেছি কিনা আর আপনি ভেবে নিলেন আমি আপনাকে ভালোবাসি? লাইক সিরিয়াসলি দুটো হেসে হেসে কথা বললে কি ভালোবাসা হয়ে যায়?
বিয়ে বাড়িতে যেগুলো হয়েছে ঐরকম দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক তো একজন বিয়াই আরেকজন বিয়ানের মধ্যে হওয়া উচিত। আপনি আমাদের সাথে ফাজলামি করেছেন আমরাও আপনার সাথে ফাজলামি করছি। সব বিয়ের বাড়িতে এমন একটু আধটু ফাজলামি তো হয়ে থাকে তাই না? আমি হয়তো একটু বেশিই ফাজলামি করে ফেলেছি। তাই বলে আপনি যে ভেবে বসবেন আমি আপনাকে ভালোবাসি এমন কিছুই কিন্তু আমাদের মধ্যে হয়নি। আপনি যে এতটা ন্যারো মাইন্ডের মানুষ এটা আমার জানা ছিল না।
- আমি শুধু চুপ করে মিষ্টির বলা কথা বলে শুনছিলাম। তার এক একটা কথা আমার হৃদয়কে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
- লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে মিষ্টি বলল আসলে আপনাদের মত ছেলেদের সমস্যাটা কি জানেন? আপনাদের সঙ্গে একটু হেসে হেসে কথা বললে আপনার ভেবে নেন মেয়েটা আপনার প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছে। আপনারা যা বলবেন তাতেই মেয়েটা রাজি হয়ে যাবে। এরপর শুরু করে দেন আপনারা ছ্যাঁচড়ামি। বারবার ফোন করে মেসেজ পথে-ঘাটে বিরক্ত করা। মেয়েটা যদি আপনার সঙ্গে রিলেশন করতে রাজি হয়ে যায়। তখন আপনারা শুরু করেন তার ওপর খবরদারি। এর সাথে কথা বলা যাবে না এর হাত ধরা যাবেনা ও কেন এই কথা বললো। আর আপনি তো আমি রাজী হওয়ার পূর্বেই আমার উপর খবরদারি শুরু করে দিয়েছেন। কেন রে ভাই আপনি কি আমাকে কিনে নিয়েছেন।
আপনি ভাবলেন কিভাবে আমি আপনার মত একটা লুচ্চা ছেলের সঙ্গে রিলেশন করব? শোনেন আপনার চেয়ে ভালো ভালো ছেলেরা আমার পিছনে লাইন দিয়ে আছে। কিন্তু তাদেরকে সময় দেওয়ার মতো টাইম আমার কাছে নাই।
কি আমার কথাগুলো শুনতে কষ্ট হচ্ছে? আপনি কি ভেবেছিলেন আপনি আমাকে প্রপোজ করবেন আর আমি লাফাতে লাফাতে রাজি হয়ে যাব? মিষ্টি তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল আপনার মত ফালতু ছেলের পিছনে সময় ব্যয় করার মত সময় আমার নেই বুঝলেন ‌। আশা করি আমাকে আর বেশি কিছু বলতে হবেনা। আপনি আমাকে আর বিরক্ত না করলে খুশি হব।
- আমি বেশি কিছু বলতে পারলাম না শুধু জড়ানো গলায় বললাম সরি। আমার গলাদিয়ে যেন কথাই বের হচ্ছিল না।
আমি দ্রুত পায়ে রুমে চলে এলাম। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে মাথাটা কেমন হ্যাং হয়ে গিয়েছে। এখনো সিগারেট খেতে হবে । আমার ভীষণ সিগারেটের তেষ্টা পেয়েছে।
এদিকে মিষ্টি রুম থেকে ভেসে আসছে পৈশাচিক হাসি।
একজন যে সবার চোখের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে তার পৈশাচিক হাসি দেখছে আর ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। সেটা যদি মিষ্টি জানতো তাহলে হয়তো তার হাসার গতি আরো বাড়িয়ে দিত।
সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে আমি দ্রুত পায়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে এলাম। ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগারেট টেনে যাচ্ছি। বুকের মধ্যে চিনচিন ব্যথা অনুভব করছি। মাথা ব্যথায় ফেটে যাচ্ছে। এর আগে কখনোই কোন মেয়ে আমাকে এতটা অপমান করেনি। এর আগে কোন মেয়ে আমাকে রিজেক্ট করেছে বলে মনে পড়ছে না। এত কষ্ট আমি এর আগে কখনো পেয়েছি বলে আমার মনে পড়ছে না।
হঠাৎ আমার মনে হলো এই কষ্টটা আমার পাওনা ছিল। কারো রিজেকশন যে কতটা কষ্টদায়ক হয়। এটা জানা আমার জন্য খুব জরুরি ছিল। কারণ এমন কষ্ট আমিও তো অনেক মেয়েকে দিয়েছি। কথায় আছে না আল্লাহ মানুষের কর্মের ফল এই পৃথিবীতেই দেন। এটাই আমার কর্মের ফল ।
চোখ বন্ধ করতেই ভেসে এলো রুপার মায়াভরা মুখটা। সে আমার ক্লাসমেট ছিল । তখন আমরা ক্লাস টেনে পড়ি হঠাৎ একদিন ও ক্লাসের মধ্যে আমাকে প্রপোজ করে বসলো। সেদিন আমি মেয়েটাকে সমস্ত ক্লাসের সামনে হাসির পাত্রী বানিয়ে ছিলাম। তার গায়ের রংটা একটু চাপা ছিল তাই আমি বলেছিলাম আয়না একবার নিজের মুখটা দেখে এস। তোমার মতো কালো ভুতনি সাথে কি আমার যায়? ক্লাসের সবাই যখন ওকে নিয়ে হাসাহাসি করছিল। মেয়েটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে শুধু। মেয়েটার প্রতি সেদিন আমাকে একটুও মায়া জন্মায় নি। আর সবার মতো আমিও দাঁত বের করে হাস ছিলাম সেদিন। আমি বুঝতে পারিনি সেদিন তার মনের কষ্ট । আমি বুঝতে পারিনি সেদিন ভালোবাসার মানুষ যখন অপমান করে তখন মরে যেতে ইচ্ছে করে। আমি দিতে পারিনি সেদিন তার চোখের জলের মূল্য। নাটক ভেবে সবি হাসির ছলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি আমি তাকে কতটা কষ্ট দিয়েছিলাম সেদিন। তাকে হয়তো সবার আড়ালে নিয়ে গিয়ে আমি সুন্দর করে বোঝালে সে বুঝত।
এই কষ্টটা তো আমার করা কাজের কাছে কিছুই না। আমার তো এর চেয়ে বড় শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল।
আমি যখন ৭ নাম্বার সিগারেট খাওয়া শেষ করে ৮ নাম্বার ধরিয়েছি। অমনি ঝর্না পেছন থেকে একটা হাত আমার মুখের সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বলল আমাকেও একটা দিন আমিও খাব
- আমি চোখের পানি মুছে ঝর্না দিকে ফিরে বললাম ঝর্না তুমি এত রাতে এখানে?
- ঝর্না আমার সামনে হাত বাড়িয়ে বলল আপনার সঙ্গে সিগারেট খেতে এসেছি। এখন আমাকেও একটা দিন আমিও খাব।
- আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম তুমি কি পাগল হয়েছ? তুমি কেন সিগারেট খেতে যাব? জানোনা ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
- ঝর্ণা বললো আমি তো জানি বাট আমার মনে হয় আপনি হয়তো জানেন না। জানলে হয়তো একের পর এক সিগারেট টানতে না। আচ্ছা বলেন তো আপনি যে সিগারেট খাচ্ছেন এতে আপনার কি উপকার হচ্ছে?
- এই যে সিগারেটের ধোঁয়া সঙ্গে কষ্টগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে এটা উপকার।
- কচু উড়িয়ে দিচ্ছেন । একজন প্রেমের প্রস্তাবে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে এমন ভাব করছে যেন আপনি দেবদাস হয়ে গেছেন। আরে ভাই পৃথিবীতে কি মেয়ের অভাব আছে নাকি?
শোনেন আপনি কখনোই পারবেন না অন্য কারও ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নিতে কিংবা জোর করে অন্যের ভালো লাগার মানুষ হতে। বরং আপনি যেটা পারবেন তা হল নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করতে যাতে যে কেউ আপনার ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়ে আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করে।
আর আমি জানি আপনার মধ্যে এমন অনেক কোয়ালিটি আছে। যেটা দেখলে মেয়েরা আপনার জন্য পাগল হয়ে যাবে। তবে সব মেয়েকে পাগল করবার প্রয়োজন নেই যাকে বিয়ে করবেন সে পাগল হলেই চলবে মুচকি হাসলো ঝর্ণা।
- বাহ বাহ তুমি এইটুকু একটা বাচ্চা মেয়ে এত সুন্দর করে কথা বলতে পারো
কথা না বলে এখন সিগারেটটা ফেলে আমার সাথে হাত মেলানো। তারপর দেখুন ঐ মিষ্টির গুষ্টির ষষ্ঠী কিভাবে করতে হয় সেটা আমি করব।
- দুই দিনের মধ্যে যদি ঐ মিষ্টির বাচ্চা আপনার পিছন পিছন না ঘরে তাহলে আমার নাম ঝর্না না।
- কিন্তু মিষ্টি তো আমাকে ভালোবাসো না।
- আরে ওসব না আপনাকে চিন্তা করতে হবে না ঝর্ণা আছে কি করতে। ও ভালোবাসবে না ওর বাবা ভালোবাসবো
- "আস্তাগফিরুল্লাহ" ওর বাবার ভালোবাসা তো আমার দরকার নাই..
- সরি সরি গালতি সে মিসটেক হয়ে গেছে
ঝর্ণার ডাইরি
অভ্রনীল চৌধুরী নামটা তার মতই অনেক সুন্দর। যেমন সুন্দর তার হাসি ঠিক তেমনি সুন্দর তার জোড়া ভ্রু দুটো। তার খরগোশের মত ছোট্ট চোখদুটি মধ্য আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। তার সব কিছুই আমার ভালো লাগে। তিনি যখন কথা বলেন চুপ করে তার কথা শুনতে ভালো লাগে। আমি চুপিচুপি তার অনেক কথা রেকর্ড করেছি। রাতে ঘুমানোর আগে কানে ইয়ারফোন গুজে আমি তার কথাগুলো শুনি। যতবারই শুনি ততবারই মুগ্ধ হয় এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। তাকে দেখলেই আমার বুকের মধ্যে কেমন জানি ধুকপুকানি শুরু হয়ে যায়। তিনি অনেক দুষ্টু হলেও ছেলে ভালো। আমার সারাক্ষণ তার আশেপাশে ঘুরতে ভালো লাগে। হ্যাঁ আমি তাকে ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু তিনি তো আমাকে ভালোবাসেন না তিনি ওই শাকচুন্নি মিষ্টি কে ভালোবাসে। উনার কাছে আমি একটা বাচ্চা মেয়ে ‌‌। আরে ভাই আমি ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি আমি বাচ্চা হলাম কিভাবে? উনার মুখে মিষ্টির কথা শুনলে আমার ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু আমি কিছু বলতে পারি না বুকে পাথর চেপে চুপচাপ শুধু শুনে যাই । আজ উনার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে।
জানেন আমি ঠিক করেছি কালকে ফকিরকে 2 টাকা দিব। আসলে আমি অনেক টাকায় দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি একটু কিপটা তো তাই দুই টাকার বেশি দিতে পারব না.......
তবে ওই মিষ্টি শাকচুন্নির সাথে যদি উনার প্রেমটা না হয় তাহলে আমি ফকিরকে ১০০ টাকা দিবো।হায় হায় ১০০ টাকা না বাবা এটা আবার বেশি হয়ে যাচ্ছে ২০ টাকা দিব । আসলে আমার কাছে এখন টাকা নাই তো। মা আমাকে টাকা দেয় না বলে আমি নাকি ছোট মানুষ। আমি যে এখন বড় হয়ে গেছি আমি যে এখন কলেজে পড়ি এটা তাদেরকে বুঝাবে? এই ও বিশ টাকাটাও স্বর্ণা আপুর ব্যাগ থেকে চুরি করেছি। আমার বড় বোন স্বর্ণা আমাকে চুন্নি বলে ডাকে আচ্ছা আপনারাই বলুন বোনের ব্যাগ থেকে ২ -১ টাকা নিলে কি কেউ চুন্নি হয়..?
ও যে বাবার পকেট থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে এত এত টাকা নেই। তাহলে ও কি ডাকাতিনি?
চলবে....


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code