Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

ওগো অপরূপা । পর্বঃ৪ , লেখকঃ- হাসিব

--কাল রাতে বিয়ে হয়ে গেছে রূপসির! তাই আমি ওর রুমে এসেছি এখন?

কাব্য: কি ওর বিয়ে হয়েছে মানে।
--আসলে ও দেখতে অনেক সুন্দর ব্যবহার ও সুন্দর, কাল একটা আপনার মতো খদ্দের এসেছিলো।
কাব্য : তার পরে!
--তার পরে আবার কি। রূপসি ওকে মন ভরে ভালোবাসা দিয়েছে। এতে লোকটি খুশি হয়ে আর ওর রূপ দেখে নিয়ে গিয়েছে। বলেছে বিয়ে করবে।
কাব্য : এই সব সত্যি নাকি মিথ্যা । আর ওর নাম রূপসি।
--হুমম আসেব।
কাব্য : তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
--সাহেব আসেন। আমি আজ আপনাকে খুশি করাতে চাই। বেশি টাকা নিবো না। খুশি হয়ে যা দিবেন।
কাব্য : সরি!
--এটা বলেই কাব্য সেখানে থেকে আবার বাসায় আসার জন্যে রহনা দেয়।
--পুরা রাস্তায় কাব্যের মাথায় একটাই চিন্তা সেটা হলো! এই পরি কে নিয়ে। পরি কি সত্যি কথা বলতেছে নাকি মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে। এই সব চিন্তা করতে করতে কাব্য বাসায় চলে আসে।
--এই তুই কোথায় গিয়েছিলি হ্যা। ( মা )
কাব্য : কোথাও না। কেনো কি হয়েছে?
মা : পরিকে নিয়ে ঘুরতে যা ওর মনটা ভিষন খারাপ।
কাব্য : খারাপ তো আমি কি করবো শুনি। আমি মন ভালো করার ওষুধ নাকি।
মা : আমি যেটা বলছি সেটাই কর।
কাব্য : আমি পারবো না। ওই খারাপ মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে।
মা : ও খারাপ না খারাপ হলি তুই। যদি খারাপ যায়গাই না যাইতি এই সব মিথ্যা বানোয়াট কথা কখনো বলতে পারতি না।
কাব্য : কি আমি খারাপ!
মা : হ্যা তুই খারাপ। তোর মতো সন্তান আল্লাহ্ যে কেনো আমাকে দিচে।
কাব্য : ছোট্ট থাকায় মে-রে ফেলতে পারোনাই? তাহলে আজ এমন কিছু হতো না।
মা : সেটাই তো ভূল করেছি।
--এই ভাবে মায়ের সাথে ঝগড়া করে কাব্য নিজের রুমে চলে আসে।
পরি : আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে হবে না। আমার জন্যে আপনি অনেক ছোট হয়েছেন। আমি আজ চলে যাবো বাবার বাসায়।
কাব্য : নিশ্চুপ?
পরি : আজ একটি কথা বলি। শুনেন আপনি যে মেটাকে আমাকে মনে করতেচেন সেই মেয়েটা সত্যি আমি না।
কাব্য : না তুমি সেই মেয়ে। আমি নিজের চোখে তোমাকে দেখেছি পতিতা'লয়ে?
পরি : ওহ। আচ্ছা ভালো থাকেন আমি গেলাম।
--এটা বলেই যখন পরি জাইতে ধরবে ঠিক তখনি কাব্য পিছন থেকে হাতটি টেনে ধরে। কাব্যে পরির হাতটা ধরার সাথে সাথেই পরির শরীর টা যেনো কম্পন দিয়ে উঠলো।
পরি : কি হলো হাত ধরলেন যে!
কাব্য : আপনি এখানেই থাকেন। মা এমনি অনেক মন খারাপ করে আছে। আপনি চলে গেলে আরো মন খারাপ করবে।
পরি : কিন্তু আপনার যে সমস্যা হচ্ছে এখানে।
কাব্য : হোক আমি ম্যানেজ করে নিবো।
পরি : ঠিক আছে।
--তো এই ভেবেই কেটে যায় ১টি মাস। কাব্য পরির সাথে কথা বলে না। পরি নিজেই এসে বলে।তখন উত্তর টা শুধুমাত্র দেয়। সকাল বেলা কাব্য ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে যখনি কলেজ বের হবে এমন সময় ওর মা চলে আসে।
--কাব্য দারাও। আজ পরি ও কলেজে যাবে? (মা )
কাব্য : মা মাথা গরম করিও না তো। আজ এক মাস পরে কলেজে যাচ্ছি এমনি মোনটা খারাপ।
মা : পরি কলেজে ভর্তি হয়েছে।
কাব্য : ও আবার কবে ভর্তি হলো বুজলাম না।
মা : আমি কাল তোর স্যারের সাথে কথা বলেছি। ওকে ও ভর্তি করে নিয়েছে।
কাব্য : তো এখন আমি কি করবো।
মা : কি আর করবি তর বউকে তুই কলেজে নিয়ে যাবি।
কাব্য : ও কলেজ দেখেনি।
মা : না ও কলেজ দেখেনি। আজ দেখিয়ে দে তার পরে একাই একাই যাবে।
কাব্য : ঠিক আছে।
--এই পরি তারা তারি আয়। কাব্য তোর জন্যে ওয়েট করতেছে।
পরি : হুম মা আর এক মিনিট আমি রেডি হয়েছি।
মা : শোন পরিকে দেখে শুনে রাখিস।
কাব্য : ও কি ফিটারে দু'দু খায় যে দেখে শুনে রাখতে হবে।
--কথাটি বলা মাত্রই পরি চলে আসে।
পরি : মা আমি রেডি?
--কথাটি শুনেই কাব্য পরির দিকে তাকিয়েই আর চোখ ফেলাতে পারে না। এটা তো সত্যিকারের পরি মনে হচ্ছে।
পরি : এই আপনি এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো হ্যা। আমাকে কখনো দেখেন নাই।
--কথাটি শুনেই কাব্য লজ্জা পায়। কারন সেখানে মা ও ছিলো তাই।
কাব্য : হয়েছে আমার ত আর কাজ নেই।
--এর পরে দুজনে বাসা থেকে বাহিরে এসে একটি রিশকার অপেক্ষা করতেছে। ঠিক ২ মিনিট পরে একটি রিশকা এসে পরে।
কাব্য : ওই মামা রিশকা নিয়ে যাবেন রংপুর সরকারি কলেজ।
--অবশ্যই যামু মামা উঠে বসুন মামি সহো।
--এর পরে কাব্য ও পরি দুজনে উঠে বসে রিশকায়। বেশ কিছু দুর যাওয়ার পরেই। দেখা হয়ে যায় সেই হাসিবের সাথে।
পরি : আপনি এই ছেলের সাথে কথা বলবেন না।
কাব্য : কেনো।
পরি : এই ছেলে আপনার মাকে সেই দিন অপোমান করেছে।
--কথাটি শুনে কাব্য একটু অবাক হয়। আর ভাবতে থাকে কি করবে। শেষ মেষ চিন্তা করে কথা বলবে না।
কারন যে আমার মাকে অপোমান করেছে তার সাথে আবার কিসের কথা।
--যখনি রিশকাটি হাসিবের সামন দিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় হাসিব বলে উঠে!
হাসিব : কি মামা বউ নিয়ে ব্যবসায় যাচ্ছিস নাকি।
কাব্য : নিশ্চুপ!
হাসিব : আমাদের ও দিস আমরা ওটাকা দিবো। সমস্যা নেই।
কাব্য : তোর কাছে এই সব আশা করিনাই হাসিব?
হাসিব : হাহা হাহা বিয়ে তো করেছিস একটা হোটে"লের ব্য"শা কে যেমন ভাব নিচ্ছিস মনে হচ্ছে পরিমনি কে বিয়ে করেছিস।
--এই কথাটি শুনেই কাব্য রিশকা থেকে নেমে হাসিবের কলাট ধরে।
কাব্য : আর একটি কথা যদি বলিশ। তোর ওই মুখটা মেখের জায়গাই থাকবে না।
--বলেই একটা ধাক্কা দেয় হাসিব কে?
পরি : এই আপনি উঠে পরুন কলেজে দেরি হচ্ছে। এই সব রাস্তার ছেলেদের সাথে কথা না বলাই ভালো।
--ত পরির কথা মতো কাব্য আবার রিশকায় উঠে পরে। আর রিশকা ওয়ালা মামা চালাইতে থেকে। একটু দেরে যাইতেই হাসিব চিৎকার দিয়ে বলে উঠে।
হাসিব : তুই যে একটা পতিতা"লয়ের মেয়েকে বিয়ে করেছিস সেটা আমি ভাইরাল করবো ওয়েট কর।
--সেই দিকে কাব্য আর কান না দিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকে। বেশ কিছুক্ষন পরে যখনি কলেজের সামনে রিশকাটি যাবে আর সেই সময় কাব্য বলে উঠে।
কাব্য : মামা এখানেই দারাও।
পরি : কলেজ তো আরো একটু দুরে দেখা যাচ্ছে। এখানে থামাবে কেনো।
--কাব্য রিশকা থেকে নেমে রিশকা ওয়ালাকে টাকা বুজিয়ে দেয়?
কাব্য : মামা একে কলেজের সামনে গিয়ে নামাই দিও।
পরি : এ আপনি কোথায় যাবেন হ্যা।
কাব্য : এই এতোপ্যাচাল পারবি না। তোর কারনে আমার সব মান সন্মান শেষ। আমি চাইনা তুই কলেজে আমার মান সন্মান শেষ কর। কলেজে কেউ যেনো না জানে তুই আমার বউ।
--কথাটি শুনেই পরির মোনটা খারাপ হয়ে যায়।
কাব্য : কিরে কথা বুজেছিস।
পরি : ঠিক আছে আমি কাউকে কখনো বলবো না। আমরা দুজনে স্বামী স্রী।
কাব্য : মনে থাকে যেনো। যদি বলিশ খুব খারপ হবে বলে দিলাম। এই মামা নিয়ে যাও ওকে।
--এর পরে রিশকা ওয়ালা মামা পরিকে কলেজের সামনে এসে নামাই দেয়। যখনি পরি কলেজে ডুকে সবেই এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে।
--ঠিক একটু পরে কাব্য ও কলেজে ডুকে। আর সাথে সাথেই দেখতে থাকে পরিকে সবাই ফলো করতেছে।
--একটু দুরে যেতেনা যেতেই কাব্যের একটি বন্ধু বলে উঠে কাব্য কে।
--কাব্য ওই দেখে সেই একটা মা""""ল আমাদের কলেজে এসেছে। উফফ কি সুন্দর দেখতে।
--এই কথা শুনে কাব্য কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
--ঠিক সেই সময় পরির দিকে তাকাতেই দেখতে পায়যে.......
চলবে...

ওগো অপরূপা গল্পের সব লিংক নিচে 👇

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code