Ad Code

Ticker

6/recent/ticker-posts

ওগো অপরূপা । পর্বঃ৩ , লেখকঃ- হাসিব

 



--এই পতিতা মেয়েকেই বিয়ে করলি শেষ পযর্ন্ত কাব্য!

--কাথাটি শুনেই কাব্য নিজের রুমের দিকে দৌর দেয়। এই লজ্জা থেকে বাছার জন্যে?
--সবাই ভাবতেছেন কে এই কথাটি বললো। সেটা আর কেউ না কাব্যের বন্ধু হাসিব।
--কোন এক ভাবে হাসিব ও জানতে পেরেছে যে কাব্য বিয়ে করেছে। তাই সকাল বেলা উঠেই বের বাসায় চলে আসে। যখনি কাব্য ও পরি বাহিরে আসে। ঠিক সেই টাইমেই হাসিব দেখে ফেলে পরিকে। আর দেখা মাত্রই মুখ ফসকিয়ে ওই কথাটি বের হয়ে যায়।
--এই দিকে কাব্যের মায়ের মাথায় যেনো বর্জ পরার মতো অবস্থা। কারন কাল রাতে কাব্য এই কথাটি বলেছ। আজ আবার হাসিব ও পরিকে দেখা মাত্রই এই কথাটি বলে উঠে।
--তো নিজের মান সন্মানের দিকে তাকিয়ে কাব্যের মা বলে উঠে?
--এই হাসিব তুমি কি বলতেছো তোমার মাথা ঠিক আছে। আর যদি কখনো এমন কথা শুনি তো তোমার সাথে কাব্যের মেলা মেশা বন্ধ করে দিবো।( কাব্যের মা)
হাসিব : আন্টি বিশ্বাস করুন এই মেয়েটিকে আমি সত্যি পতিতালয়ে দেখেছি।
--এক দম চুপ করো। তোমার মুখে আর একটি কথা ও শুনতে চাইনা আমি! ( কাব্যের মা )
হাসিব : সত্যি কখনো লুকানো যায়না বুজলেন। সত্যি টা সত্যি থাকে।
--তুমি কি বলতে চাও হ্যা। সরা সরি বলো?
হাসিব : আমি একটি কথাই বলতে চাই। আপনি একটি খারাপ মেয়ের সাথে আপনার সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। তাতেই আবার বয়সে ও বড়? আপনি মা হয়ে এমন একটি মেয়ের সাথে কাব্যের বিয়ে দিলেন ভাবতেই পারলাম না!
--ঠাসসসস! ঠাসসস! ঠাসসস! বেয়াদব ছেলে কোথাকার! লজ্জা করেনা একটি মেয়ের নামে এমন বদনাম লটানোর। আমি তো ভাবতেই পারছি না তুমি এতোটা খারাপ? ( কাব্যের মা )
হাসিব : আপনি আমাকে থাপ্পড় মারলেন আন্টি। এটা এক দমি ঠিক করেন নাই।
--কেনো তুমি কি আমাকে থাপ্পড় দিবে নাকি।
( কাব্যের মা)
হাসিব : আমাকে আপনি থাপ্পড় না মারলে ও পারতেন। এই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ আমি থাপ্পড় দিয়ে নিবো না। সময় হোক ঠিকেই বুজবেন।
--যাও বেরিয়ে যাও আমার বাসা থেকে। তোমার মতো ছেলের সাথে মেলা মেশার জন্যে আমার সন্তান টি এমন হয়েছে। ( কাব্যের মা )
হাসিব : হুম যাচ্ছি তবে মনে রাখবেন। আপনাকে অনেক পস্তাতে হবে। আর হ্যা আপনার এই যে বউ মা আছে না। ওর সাথে আমার অনেক কাহিনি আছে। আপনার ছেলের মুখে শুনিনেন!
--এই তুমি কি যাবে এখন। নাকি দারোয়ান ডেকে বের করে দিবো। ( কাব্যের মা )
হাসিব : তার দরকার নেই! আমি চলে যাচ্ছি?
--এটা বলেই হাসিব একবার পরির দিকে তাকিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়?
--পরি তুমি আমার সাথে রুমে আসো তো। কথা আছে অনেক! ( কাব্যের মা )
পরি : হুম মা চলুন। ( কান্না ভেজা চোখে )
--সবাই ভাবতে পারেন কান ভেজা চোখে কেনো। কারনটা হচ্ছে এতো সব মিথ্যা বানোয়াট কথা শুনলে যে কারোর চোখে পানি চলে আসবে। তাতেই আবার নতুন বউ সব মাত্র কাল এসেছে। তাতেই এতো বদনাম।
--তো এর পরে শাশুড়ি মায়ের কথা মতো পরি পিছে পিছে তার সাথে রুমে চলে আসে।
পরি : মা বলুন কি বলবেন!
--তুমি কি সত্যি ওই সব কারাপ কাজে লিপ্ত আছো পরি। যা সত্যি তাই বলবে? ( কাব্যের মা )
পরি : মা বিশ্বাস করুন আমি এই সব কাজে লিপ্ত কথা তো দুরের কথা মুখেই কখনো আনিনাই।
--তাহলে কাল রাতে কাব্য আজ ওর বন্ধু হাসিব এই সব কথা বললো কেনো বুজলাম না ( কাব্যের মা )
পরি : সেটাই তো আমি ও বুজতেছি না মা। ওরা কেনো আমাকে এই সব দোশারপ করতেছে। আর আমি তো এমন মেয়ে না?
--লুকাচ্ছো না তো আবার কেনো কথা। যদি লুকিয়ে থাকো সত্যি টা বলো। কোন সমস্যা হবে না। আমি দেখবো কি করা যেতে পারে। ( কাব্যের মা )
পরি : আশ্চর্য আমি মিথ্যা বলবো কেনো। যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তবে আমার সম্পর্কে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। আমি কেমন মেয়ে।
--ওহ! কিন্তু আমি ও বুঝতেছি না। ওরা দুজনে কি প্লান করে এমন করতেছে নাকি অন্য কিছু। কাব্য তো আমাকে কখনো মিথ্যা বলে না। আমার মনে হয় কি জানো পরি। ওরা তোমার মতো কাউকে দেখেছে। তাই তোমাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতেছে? ( কাব্যের মা )
পরি : হয়তো হতে পারে? কিন্ত এখন আমি কি করবো। আপনার ছেলে তো আমার সাথে কথাই বলতেছে না। যদি ও বা কাছে যাই তবে কতো কথা বলতেছে। এর চেয়ে আপনি আমার বাবা কে বলিয়ে আমাদের আলাদা করে দিন।
--এ মেয়ে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি? কাল বিয়ে হলো আজকেই ডিভোর্স এ দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছো। আমি কি তোমাকে এখনো কোন খারাপ মন্তব্য করেছি নাকি? যে তুমি ছারা ছারির কথা মুখ আনতেছো। আর কখনো এমন কথা বলবে না ( কাব্যের মা )
পরি : তো আমি কি আর করবো বলেন? যেখানে আপনার সন্তান আমি স্বামী হয়। ও নিজেই কথা বলে না। সেখানে কেমন করে থাকবো।
--চিন্তা করিও না। আমি সব কিছু ঠিক করে দিবো একটু ধৈর্য ধারন করো প্লিজ! ( কাব্যের মা )
পরি : জোর করে ভালোবাসা হয়না মা! আমি জোর করে আপনার সন্তানের ভালোবাসা চাইনা?
--আরে এমন কিছু না! ওর মনে হয়তো বতর্মান অনেক প্রশ্ন তাই তোমাকে মেনে নিতে পাচ্ছে না? ( কাব্যের মা )
পরি : আমি জানি না মা?
--আচ্ছা একটি কথা বলি শোন? কাব্য যেই কলেজে পরে তোমাকে ও সেই কলেজে ভর্তি করে দেই। এতে করে তোমার সব সময় এক সঙ্গে থাকতে পারবে। তখন দেখবা ও তোমার প্রতি আকৃষ্ট হবে ( কাব্যের মা)
পরি : ঠিক আছে মা আপনি যা মনে করেন।
--আচ্ছা তুমি রুমে যাও এখন। তোমার সাথে পরে কথা বলবো? ( কাব্যের মা )
--তো এর পরে পরি সোজা রুমে চলে আসে। এসেই দেখে যে কাব্য মন খারাপ করে বসে আছে। কাব্যের মন ভালো করার জন্যে পরি বলে উঠে?
পরি : আপনি চিন্তা করবেন না। আমাদের ডিভোর্স হবে।
--কথাটি শুনেই কাব্য বলে উঠে?
কাব্য : কবে ডিভোর্স হবে আমাদের আজকে!
পরি : আসলে বিয়ের ৩ মাস আগে ত ডিভোর্স হয়না। তাই আমাদের ৩ মাস এক সাথে থাকতে হবে।
কব্য : ওহ!
পরি : আমি কাল থেকে আপনার কলেজে যাবো।
কাব্য : What!!
পরি : হুম। আমি ও পরাশুনা করতে চাই। আপনার সাথে তো থাকবো না তাই ভেবেছি পরাশুনা চালিয়ে যাবো।
কাব্য : কিন্তু আমার কলেজে কেনো! আরো অনেক কলেজ তো আছে?
পরি : শুনেছি আপনি যেই কলেজে পরেন ওটাই নাকি এখানকার মধ্যে বেষ্ট কলেজ?
কাব্য : ভালো খুব ভালো ! আর হ্য তুই যে হো"টেলে খারাপ কাজ করিশ তার প্রমান আজ দিবো আমি।
পরি : ঠিক আছে!
--এটা বলেই কাব্য সোজা সেই পতিতালয়ে আসার জন্যে রহনা দেয়। প্রায় ১ ঘন্টা পরে গন্তব্য স্থানে আসে।
--তো এসেই সোজা ওই মেয়েটার রুমে যায়। যে মেয়েটার সাথে এখানে এসে শারী-রিক সম্পর্ক করেছে।
--ভিতরে ডুকেই দেখে যে অন্য একটি মেয়ে শুয়ে আছে। এই রুমে। আশ্চর্য ওই মেয়েটা কোথায় ?
কাব্য : আচ্ছা এ রুমে যে ছিলো কালকে সে কোথায়?
--কেনো আমি কে তার চেয়ে দেখতে খারাপ নাকি। আমাকে পছন্দ হয়না!
কাব্য : প্লিজ বলো সে কোথায়।
--আসো আমি ও ওর মতোই তৃপ্তি দিবো বাবু তোকে?
কাব্য : দয়া করে বলো ও কোথায়?
--বলতে পারি এর জন্যে 200 টাকা দিতে হবে আমাকে ?
--কথাটি শুনার সাথে সাথেই কাব্য টাকাটি বের করে দেয়।
কাব্য : এখন বলো?
--আসলে ওর কালকে,,,,,?????
--কথটি শুনেই কাব্যের মাথা ঘুরে যায়।
চলবে...

ওগো অপরূপা গল্পের সব লিংক নিচে 👇


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code